মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা

উলুছড়িতে নির্মিত হচ্ছে ধ্যান ভান্তের স্মৃতি মূর্তি

বিলাইছড়ি ( রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ৪:১৫ পিএম | 31 বার পড়া হয়েছে
উলুছড়িতে নির্মিত হচ্ছে ধ্যান ভান্তের স্মৃতি মূর্তি

বিলাইছড়ি ( রাঙ্গামাটি ) প্রতিনিধি– রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়নে উলুছড়ি নামক গ্রামে অজিতা মহাথের (ধ্যান ভান্তের) প্রথম আগমন উলুছড়ি স্বদ্ধর্মরত্ন বৌদ্ধ বিহারের পাশে নির্মিত হচ্ছে ভান্তের চৈত্য/স্মৃতি মূর্তি/প্রতিবিম্ব।

সরাসরি কথা বলতে গিয়ে বিহার অধ্যক্ষ ভান্তের শিষ্য জ্ঞান বংশ ভিক্ষু জানান, এই মূর্তিটি নির্মাণ করার জন্য ফারুয়া বাসীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এতে উলুছড়ি সহ সকলে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। যেকোনো উপায়ে মূর্তিটি বানাতে হবে। মূর্তিটি নির্মাণ/বানাতে যাবতীয় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। শুধু কারিগর/মিস্ত্রি খরচ ৩ লক্ষ টাকা। এটি নির্মাণে শুধু উলুছড়ি ও ফারুয়া বাসীর পক্ষে সম্ভব নয়। সেজন্য বিভিন্ন এলাকা হতে দাতা বা এমন পূণ্যবান ব্যক্তি যদি থাকেন তাহলে বিকাশ- ০১৮১৮২৭৮৪৯৮, নগদ- ০১৮৬৯৪৭৮৯৮৪ নাম্বারে যোগাযোগ করে পূণ্যভাগী হতে পারবেন । তিনি আরও জানান, দানের টাকা দিয়ে নির্মাণে বর্তমানে প্রথমধাপ দৃশ্যমান। নির্মাণে আর্থিকভাবে জেলা পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন এবং দাতাগোষ্ঠীর সহায়তায়ও দরকার। বৌদ্ধ ভিক্ষু আরও জানান,দান ত্রাণের উপায়, দান দুর্গতি বারণ করে,দান অদান্তকে দমন করে, দান স্বর্গের সোপান, দান ও প্রিয় বাক্য দ্বারা মানুষের মন ও হৃদয় উন্নত ও উদার হয়, শত্রুকে দমন করার একমাত্র পন্থা হলো দান।

অন্যদিকে বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যান (হেডম্যান) জানান,আমরা উলুছড়িসহ ফারুয়াবাসী ধ্যান ভান্তের স্মৃতি মূর্তি নিমার্ণে উদ্যোগ নিয়েছি বর্তমানে চৈত্যটি প্রায় দৃশ্যমান। মূর্তিটি ১০ ফুট হলেও চৈত্যটি ডিজাইন সহ উচ্চতা প্রায় ৩৫ ফুট। সময়ে লাগবে প্রায় কয়েক মাস। যেহেতু ভান্তের কোনো একদিন পরিনির্বাণ হবে। সবাই যেন ভান্তেকে দেখতে পারে এজন্য সবাই মিলে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই যারা আর্থিকভাবে সহযোগিতা /দান করতে চাইছেন তাহলে ভান্তের নাম্বারে যোগাযোগ করে দিতে পারেন। এলাকার কার্বারী নিজয় তঞ্চঙ্গ্যা জানান,ভান্তের জীবিত থাকাকালীন সময়ে আমরা মূর্তিটি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোন দানবীর যদি দান দিতে চাইলে তাহলে ভান্তে নাম্বারে কথা বলে দিবেন।

এছাড়াও সহযোগিতা করেছেন কিনা এই বিষয়ে পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বিলাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি আর্য্যলঙ্কার মহাথের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,আমাদের এখনো অবগত করা হয়নি ,যদি বলে তাহলে ভিক্ষু সংঘ নিয়ে আলোচনা করে তারপরে বলতে পারবো। তবে ধর্মীয় বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসা দরকার। উল্লেখ্য যে, ধ্যান ভান্তে একজন ধূতাঙ্গ সাধক ও আধ্যাত্নিক শক্তিসম্পন্ন দিব্যপুরুষ বলে সবাই মনে করেন। এজন্য ভান্তের জন্ম দিবস ও ভান্তে যেখানে থাকেন বা অনুষ্ঠান করেন সেখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। তাছাড়াও ভান্তে যেখানে থাকেন প্রতিদিন প্রণাম জানাতে শতশত মানুষ সেখানে ছুটে যান। ভান্তের জন্ম ১৯৩৫ সালে।তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মনে করে ভান্তে একজন অরহৎ ও শ্রাবক বুদ্ধ। তাকে পূজা করলে মানুষের মনের বাসনা পূর্ণ হয়। প্রায় ২৪ বছর আগে এই বিহারে এসেছেন ধ্যান ভান্তে । সেখান থেকে ধুপপানি সহ মায়ানমার, ভারত এবং বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে বিভিন্ন গুহায় গুহায় ধ্যান করে থাকেন। এজন্য ধ্যান ভান্তে নামে একনামে পরিচিত। তাই বৌদ্ধ ধর্ম উন্নয়ন ও তার স্মৃতি ধরে রাখতে এবং পূণ্যভাগী হতে আপনিও এগিয়ে আসুন।

কাঠালিয়ায় সরকারি পুকুরে মাছ অবমুক্ত করলো উপজেলা প্রশাসন

ফাতিমা আক্তার মিম কাঠালিয়া সংবাদদাতা প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
কাঠালিয়ায় সরকারি পুকুরে মাছ অবমুক্ত করলো উপজেলা প্রশাসন

ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলাশয়ের যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।এদিন উপজেলার ১১টি সরকারি জলাশয়ে মাছ অবমুক্ত করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:উপজেলা পরিষদের পুকুর (৩টি) – আয়তন ০.৪ হেক্টর,ঐতিহাসিক চর ডিসি লেক – আয়তন ২.৫ হেক্টর,কাঠালিয়া থানার পুকুর – আয়তন ০.০৮ হেক্টর,চিংড়াখালী মিয়াজী দরবার পুকুর – আয়তন ০.১২ হেক্টর,

আমুয়া তহসিল অফিসের পুকুর – আয়তন ০.০৮ হেক্টর,শৌলজালিয়ার সোনার বাংলা মৎস্য অবয়াশ্রম – আয়তন ১ হেক্টর,

এছাড়া আরও কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা, দরবার ও সরকারি স্থাপনার পুকুরেও মাছ অবমুক্ত করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম বলেন, “সরকারি জলাশয়গুলোতে মাছ অবমুক্তের মাধ্যমে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং স্থানীয় জনগণের জন্য পুষ্টির উৎস নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্য কর্মকর্তা ও জনসাধারণ এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, এ উদ্যোগটি দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ।

রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার অন্তর্গত চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনি না থাকায় বারিবর্ষণ ও প্রচন্ড রোদে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় বিষখালী নদীর এপার ওপারের দুই তিনটি উপজেলার সাধারন মানুষসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন বাজারগামী ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

এমতাবস্থায় অতিব প্রয়োজন একটি যাত্রী ছাউনি। উল্লেখ্য যে, রাজাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ও নলছিটি উপজেলার তেতুলবাড়িয়াসহ ১০ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাওয়া আসার একমাত্র মাধ্যম বিষখালী নদীর খেয়া পারাপার। তবে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ ইতোমধ্যে নিজ উদ্যোগে নদীর রাজাপুরের পারে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এখানে লঞ্চে যাতায়াতের ও খেয়াপারাপারের এক পারের যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসন হলেও দুর্ভোগ রয়েগেছে নলছিটির ওপারের যাত্রীদের। এই স্থান থেকে ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি, খুলনা, রাজাপুর, কাঠালিয়া, ভান্ডারীয়া ও বড়ইয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রী সাধারণ এই লঞ্চঘাটে আসে এবং নির্মিত যাত্রী ছাউনির সুবিধা ভোগ করেন। বিশেষ করে নদীপথ বিলুপ্ত প্রায় তারপরও এখান থেকে চল্লিশ কাহনিয়া খেয়া পার হয়ে চরপালট খেয়াঘাট হয়ে তেতুলবাড়িয়া, মোল্লার হাট, নলছিটির, বাকেরগঞ্জ ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত শতশত মানুষ এবং অসংখ্য মটরসাইকেল খেয়া পারের মাধ্যেমে যাতায়াত করে থাকে। অপরদিকে চরপালট খেয়াঘাটের মাধ্যমে নলছিটি, মোল্লারহাটসহ তেঁতুলবাড়িয়ার বহু মানুষ প্রতিদিন বড়ইয়া বাজার, বড়ইয়া কলেজ, উত্তমপুর বাজার, বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ, পুটিয়াখালী বাজার, রাজাপুর উপজেলা, ঝালকাঠি, ভান্ডারিয়া ও খুলনায় যাতায়াত করে থাকেন।

এ অবস্থায় চল্লিশকাহনিয়া ঘাটে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক নির্মিত যাত্রী ছাউনিটিরন্যায় চরপালটেও একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রানের দাবী।

জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারীতে আজ ৩০ জুন জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচে সৈয়দপুর উপজেলার মুখোমুখি হন নীলফামারী পৌরসভা।

ম্যাচ শুরু থেকেই দুই দলেই ছিলো বেশ ছন্দে। তবে কাজের কাজটি করতে পারেনি বিশ্রামে থাকার পর সৈয়দপুর দলটি,সেসময় ফলাফলটা ছিলো ০-১ ব্যবধনে।

দীপকের একমাত্র গোলে এগিয়ে যায় নীলফামারী পৌরসভা দলটি। ১-০ গোলেই মাঠ ছাড়তে হয় শক্তিশালী সৈয়দপুরকে। ম্যাচে গোলের দেখা মিলতো সৈয়দপুরের কিন্তু ভাগ্যক্রমে গোলের বারে লেগে ঘুরে চলে আসে বল। ভূবন মোহন রেফারির লম্বা বাঁশি বাজিয়ে জানিয়ে দেয় খেলা সমাপ্তি।

নীলফামারী পৌরসভা দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন এ সময়ের সেরা খেলোয়াড় আল আমিন সঙ্গে ছিলেন আরো আন্তর্জাতিক তারকা সাঈদ, দীপক সহ অনেকে। ম্যাচ সেরা হন দীপক। এই ম্যাচে তার একমাত্র গোল ছাড়াও গত ম্যাচে তার একায় আট গোলের দেখা।

error: Content is protected !!