মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

আদম ব্যাবসায়ী শাহীনের ভুয়া ভিসা দিয়ে প্রতারণা নিঃস্ব অনেক পরিবার

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৫:৪২ পিএম | 75 বার পড়া হয়েছে
আদম ব্যাবসায়ী শাহীনের ভুয়া ভিসা দিয়ে প্রতারণা নিঃস্ব অনেক পরিবার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিদেশে  উচ্চ বেতনে কাজের আশায় আদম ব্যাপারী কে  টাকা দিয়ে বহু পরিবার প্রতারিত হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীরা তাড়াশ  থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত: তোজাম্মেল  হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আলী শাহিন (৫০) এলাকায় একজন চিহ্ণিত আদম ব্যাপারী হিসেবে পরিচিত। সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকার লোকজন কে প্রলুদ্ধ করে, বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু  তিনি টাকা আত্মসাৎ করলেও একজনকেও বিদেশে পাঠাতে পারেননি মর্মে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
টাকা দেয়ার পর অভিযোগকারীরা নিজ খরচে ঢাকায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর তিন মাস কোর্স করার পর তাদের কে মেডিক্যাল করানো হয়। এরপর ধরিয়ে দেয়া হয় ভূয়া ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ও  বিমানের টিকেট। কিন্ত ঘটনার এক বছরের অধিক সময় ধরে  বিদেশে যেতে না পেরে সম্প্রতি তারা বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এসব ডুকুমেন্ট সবি জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে। এ কারণে প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগীরা  থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগকারীরা হলেন, তাড়াশ পৌর সদরের বাসিন্দা মো: আব্দুল আজিজের ছেলে মো: আরিফুল ইসলাম, বিনোদপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম, ধাপতেতুঁলিয়া গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর ও খুঁটিগাছা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে আবুল বাশার।

এদের কে লিথুনিয়া, বুলগেরিয়া ও অস্টেলিয়া পাঠানোর কথা বলে অরিফুলের কাছ থেকে নগদ ১০ লাখ, রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে আট লাখ ১৩ হাজার, জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে নয় লাখ টাকা ও আবুল বাশারের কাছ থেকে সাত লাখ ৮৩ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে শাহিন হাতিয়ে নেয়।

এ ছাড়াও উপজেলার কোহিত গ্রামের গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা, জামাল উদ্দিনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা, নাটোরের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড়ের খরপাড়ার শুভর কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা সহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার তার বিরদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগকারী আবুল বাশার জানান, আদম ব্যাপারী মোহাম্মদ আলী শাহিন কে টাকা দিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে এসব পরিবার। তারা শাহীনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমানে সে আত্মগোপনে রয়েছে। নিরুপায় হয়ে আমরা তাড়াশ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।তাড়াশ পৌর সদরের বাসিন্দা অরিফুল ইসলাম বলেন, তাকে অষ্ট্রেলিয়া পাঠানো কথা বলে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে আদম ব্যাবসায়ী মোহাম্মদ আলী শাহিন। ভুয়া ভিসা, কোর্সের ভুয়া সনদ, ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট ও বিমানের টিকেট ধরিয়ে দিয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে  পারেন এসবই জাল। এখন শাহীন ফোনও ধরছে না, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না পাসপোর্ট ও ফেরত দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে মোহাম্মদ আলী শাহিনের সাথে বারবার যোগযোগ করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পা-ওয়া যায়।

তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) রুপ কর বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাঠালিয়ায় সরকারি পুকুরে মাছ অবমুক্ত করলো উপজেলা প্রশাসন

ফাতিমা আক্তার মিম কাঠালিয়া সংবাদদাতা প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
কাঠালিয়ায় সরকারি পুকুরে মাছ অবমুক্ত করলো উপজেলা প্রশাসন

ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলাশয়ের যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।এদিন উপজেলার ১১টি সরকারি জলাশয়ে মাছ অবমুক্ত করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:উপজেলা পরিষদের পুকুর (৩টি) – আয়তন ০.৪ হেক্টর,ঐতিহাসিক চর ডিসি লেক – আয়তন ২.৫ হেক্টর,কাঠালিয়া থানার পুকুর – আয়তন ০.০৮ হেক্টর,চিংড়াখালী মিয়াজী দরবার পুকুর – আয়তন ০.১২ হেক্টর,

আমুয়া তহসিল অফিসের পুকুর – আয়তন ০.০৮ হেক্টর,শৌলজালিয়ার সোনার বাংলা মৎস্য অবয়াশ্রম – আয়তন ১ হেক্টর,

এছাড়া আরও কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা, দরবার ও সরকারি স্থাপনার পুকুরেও মাছ অবমুক্ত করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম বলেন, “সরকারি জলাশয়গুলোতে মাছ অবমুক্তের মাধ্যমে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং স্থানীয় জনগণের জন্য পুষ্টির উৎস নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্য কর্মকর্তা ও জনসাধারণ এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, এ উদ্যোগটি দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ।

রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার অন্তর্গত চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনি না থাকায় বারিবর্ষণ ও প্রচন্ড রোদে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় বিষখালী নদীর এপার ওপারের দুই তিনটি উপজেলার সাধারন মানুষসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন বাজারগামী ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

এমতাবস্থায় অতিব প্রয়োজন একটি যাত্রী ছাউনি। উল্লেখ্য যে, রাজাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ও নলছিটি উপজেলার তেতুলবাড়িয়াসহ ১০ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাওয়া আসার একমাত্র মাধ্যম বিষখালী নদীর খেয়া পারাপার। তবে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ ইতোমধ্যে নিজ উদ্যোগে নদীর রাজাপুরের পারে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এখানে লঞ্চে যাতায়াতের ও খেয়াপারাপারের এক পারের যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসন হলেও দুর্ভোগ রয়েগেছে নলছিটির ওপারের যাত্রীদের। এই স্থান থেকে ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি, খুলনা, রাজাপুর, কাঠালিয়া, ভান্ডারীয়া ও বড়ইয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রী সাধারণ এই লঞ্চঘাটে আসে এবং নির্মিত যাত্রী ছাউনির সুবিধা ভোগ করেন। বিশেষ করে নদীপথ বিলুপ্ত প্রায় তারপরও এখান থেকে চল্লিশ কাহনিয়া খেয়া পার হয়ে চরপালট খেয়াঘাট হয়ে তেতুলবাড়িয়া, মোল্লার হাট, নলছিটির, বাকেরগঞ্জ ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত শতশত মানুষ এবং অসংখ্য মটরসাইকেল খেয়া পারের মাধ্যেমে যাতায়াত করে থাকে। অপরদিকে চরপালট খেয়াঘাটের মাধ্যমে নলছিটি, মোল্লারহাটসহ তেঁতুলবাড়িয়ার বহু মানুষ প্রতিদিন বড়ইয়া বাজার, বড়ইয়া কলেজ, উত্তমপুর বাজার, বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ, পুটিয়াখালী বাজার, রাজাপুর উপজেলা, ঝালকাঠি, ভান্ডারিয়া ও খুলনায় যাতায়াত করে থাকেন।

এ অবস্থায় চল্লিশকাহনিয়া ঘাটে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক নির্মিত যাত্রী ছাউনিটিরন্যায় চরপালটেও একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রানের দাবী।

জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারীতে আজ ৩০ জুন জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচে সৈয়দপুর উপজেলার মুখোমুখি হন নীলফামারী পৌরসভা।

ম্যাচ শুরু থেকেই দুই দলেই ছিলো বেশ ছন্দে। তবে কাজের কাজটি করতে পারেনি বিশ্রামে থাকার পর সৈয়দপুর দলটি,সেসময় ফলাফলটা ছিলো ০-১ ব্যবধনে।

দীপকের একমাত্র গোলে এগিয়ে যায় নীলফামারী পৌরসভা দলটি। ১-০ গোলেই মাঠ ছাড়তে হয় শক্তিশালী সৈয়দপুরকে। ম্যাচে গোলের দেখা মিলতো সৈয়দপুরের কিন্তু ভাগ্যক্রমে গোলের বারে লেগে ঘুরে চলে আসে বল। ভূবন মোহন রেফারির লম্বা বাঁশি বাজিয়ে জানিয়ে দেয় খেলা সমাপ্তি।

নীলফামারী পৌরসভা দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন এ সময়ের সেরা খেলোয়াড় আল আমিন সঙ্গে ছিলেন আরো আন্তর্জাতিক তারকা সাঈদ, দীপক সহ অনেকে। ম্যাচ সেরা হন দীপক। এই ম্যাচে তার একমাত্র গোল ছাড়াও গত ম্যাচে তার একায় আট গোলের দেখা।

error: Content is protected !!