মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে

ঝিনাইগাতীতে চাচা আটক

তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৫:০৪ পিএম | 69 বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইগাতীতে চাচা আটক

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম মো. বাবুল মিয়া (৫২)। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে তাকে শেরপুর আদালতে প্রেরণ করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার বাবুল মিয়া উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মধ্য ডেফলাই গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে।
তার আগে গতকাল রবিবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে ডেফলাই এলাকা থেকে অভিযুক্ত বাবুলকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এদিকে ধর্ষণের স্বীকার ওই ছাত্রী উপজেলার শালচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও অভিযুক্তের দূরসম্পর্কের ভাতিজি।শিশুটির মা জানান, বাবুল মিয়া আমার নিকটীয় প্রতিবেশি ও দূরসম্পর্কের দেবর। তার চারিত্রিক অনেক সমস্যা রয়েছে। ইতোপূর্বে তিনি এমন ঘটনা আরো ঘটিয়েছে। গত ১৭ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্ত বাবুলের গোয়াল ঘরে ডেকে নিয়ে আমার মেয়েকে বিভিন্ন প্রলাভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাকে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি আমরা জানার পর মান সম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু রবিবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত নয়টার দিকে আমার মেয়ে ঘরের বাহিরে বের হলে পুনরায় বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ সময় আমার মেয়ের ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে বাবুল মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে রবিবার দিবাগত রাতেই মো. বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে এ মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।
অভিযুক্ত মো. বাবুল মিয়া বলেন, এ ঘটনার কিছুই জানেন না এবং ষড়যন্ত্রের স্বীকার তিনি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আর-আমীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় ওই মেয়েটির মা বাদী হয়ে বাবুল মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। পরে বাবুলকে শেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। ভুক্তভোগী মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নরসিংদীর মাধবদীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান তিন দোকানকে জরিমানা

মোঃ কামাল হোসেন প্রধান জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী  প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৯:০১ পিএম
নরসিংদীর মাধবদীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান তিন দোকানকে জরিমানা

নরসিংদীর মাধবদীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে তিনটি মিষ্টির দোকানকে জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অদ্য ২৩ জুন সোমবার, বিকাল ৪টার দিকে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে মাধবদীর শহরের শিমুল সুইটমিটকে তিন হাজার টাকা এবং অপর দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেড় হাজার টাকা করে মোট সাথে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য সতর্কও করে দেওয়া হয়েছে।

অভিযানটি পরিচালনা করেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নরসিংদী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান। তিনি জানান, জনস্বার্থে ও ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় এ ধরনের তদারকি কার্যক্রম নিয়মিত চলবে।

এ সময় অভিযানে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ (সিসিআরবি), নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হান্নান মানিক, সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র নাথ বনিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান বিপ্লব।

নরসিংদীর শিবপুরে ভয়ংকর ডাকাত মোঃ সবুজ ওরফে সেলিমকে গ্রেফতার করেন র‍্যাব

 মোঃ কামাল হোসেন প্রধান জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী  প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৮:৪৯ পিএম
নরসিংদীর শিবপুরে ভয়ংকর ডাকাত মোঃ সবুজ ওরফে সেলিমকে গ্রেফতার করেন র‍্যাব

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় র‍্যাব-১১ এর বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন, একাধিক ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি মোঃ সবুজ ওরফে সেলিম (৩৫)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ জুন সোমবার রাত ১২টা ৩০ মিনিটে শিবপুর উপজেলার কামড়াবো এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।র‍্যাব সূত্র জানায়,গ্রেফতারকৃত মোঃ সবুজ পলাশ উপজেলার সুলতানপুর এলাকার মৃত কামাল ওরফে আলাউদ্দিনের ছেলে। তিনি রাজধানীর ভাষানটেক থানাসহ গাজীপুরের শ্রীপুর এবং নরসিংদীর পলাশ থানায় একাধিক ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের মামলার পলাতক আসামি। অদ্য ২৩ জুন সোমবার বেলা দেড়টায় ,র‍্যাব-১১ এর সিপিএসসি নরসিংদী ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি জুয়েল রানা পিপিএম (সেবা) জানান,আসামি মোঃ সবুজ ওরফে সেলিম দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও গাজীপুর সহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা রয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সফলভাবে তাকে গ্রেফতার করেন।গ্রেফতারের পর আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পলাশ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বগুড়া গাবতলী ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু তাসলিমার পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল

আহসান হাবিব শিবলু, গাবতলী, বগুড়া প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৮:৪৩ পিএম
বগুড়া গাবতলী ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু তাসলিমার পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল

২৩ জুন সোমবার) বগুড়ার গাবতলী দূর্গাহাটা বেতুয়াকান্দি গ্রামের ক্যান্সারে আক্রান্ত ১২ বছরের শিশু তাসলিমা আক্তারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এই অসহায় পরিবারের কাছে।

গত ২০ জুন একটি মানবিক প্রতিবেদন—”মৃত্যুর প্রহর গুনছে ক্যান্সার আক্রান্ত ১২ বছরের তাসলিমা”—প্রকাশের পর বিষয়টি বিএনপির হাইকমান্ডের নজরে আসে। এরপর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মানবিক বিবেচনায় দ্রুত সহায়তার নির্দেশ দেন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম. আর. হাসান পলাশ তাসলিমার পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এসময় সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গাবতলী উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম. আর. ইসলাম রাখু, উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হাসান ডিটল, সাধারণ সম্পাদক এস. এম. রাঙ্গা, সিনিয়র সহ-সভাপতি তৌমিরুল ইসলাম তৌকির, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, দপ্তর সম্পাদক সম্রাট হাসান দোয়েল, দুর্গাহাটা ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশিক হাসানসহ স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

এ সময় এম. আর. হাসান পলাশ বলেন,

“গাবতলীর অসহায় শিশুটির করুণ বাস্তবতা গণমাধ্যমে উঠে আসার পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত এই সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি।”তিনি আরও জানান,”তাসলিমার চিকিৎসা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য আমরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। প্রয়োজনে আমরা আরও পাশে থাকব।”

অর্থ সহায়তা পেয়ে তাসলিমার পরিবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানায়,”চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। এই সহায়তা আমাদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছে। তারেক রহমানসহ ছাত্রদলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।উল্লেখ্য, গাবতলীর বেতুয়াকান্দি গ্রামের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া তাসলিমা আক্তার হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন, তবে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে পরিবারটি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে।