বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

ধূমপান রোধে নিউজিল্যান্ডকে অনুসরণ করতে পারে বাংলাদেশ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:১৮ এএম | 87 বার পড়া হয়েছে
ধূমপান রোধে নিউজিল্যান্ডকে অনুসরণ করতে পারে বাংলাদেশ

তামাকের ক্ষতিহ্রাস (টিএইচআর) কৌশলের মাধ্যমে ধূমপান রোধে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে নিউজিল্যান্ড। ২০২৫ সালের মধ্যেই ধূমপানের হার পাঁচ শতাংশ বা তার চেয়েও কমিয়ে আনার পথে এগোচ্ছে দেশটি। ধূমপান রোধে ধোঁয়াবিহীন নিকোটিন পণ্যকে সমন্বিত করার মাধ্যমে নিউজিল্যান্ড যেভাবে সফলতা পেয়েছে, তা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

“কুইটিং স্ট্রং: নিউজিল্যান্ড’স স্মোকিং সিসেশন সাকসেস স্টোরি” শীর্ষক স্মোক ফ্রি সুইডেনের রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘স্মোক ফ্রি সুইডেন’ একটি ধূমপান বিরোধী আন্দোলন, যা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক ‘হেলথ ডিপ্লোম্যাটস’ দ্বারা পরিচালিত।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধূমপান রোধে সুইডেনকে অনুসরণ করেছে নিউজিল্যান্ড। কারণ তামাকের ক্ষতিহ্রাস কৌশল গ্রহণ করে সুইডেন ইতোমধ্যেই ইউরোপের প্রথম ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে ধূমপানের হার পাঁচ শতাংশের চেয়ে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

ধূমপানের হার কমানোর ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের অগ্রগতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে ক্ষতিহ্রাস কৌশল সংক্রান্ত আইনী ব্যবস্থা ও নীতি প্রণয়ন। সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালের স্মোক-ফ্রি এনভায়রনমেন্টস অ্যাক্ট-এর মাধ্যমে জনসম্মুখে ধূমপান নিষিদ্ধ করে দেশটি। এছাড়াও বার্ষিক ভিত্তিতে তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি করা হয় এ আইনে, যা এক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-র মতো আন্তর্জাতিক কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে গৃহীত পদক্ষেপগুলো নিউজিল্যান্ডে ধূমপানের প্রবণতা হ্রাসে ব্যাপক অবদান রেখেছে।

তামাকের ক্ষতিহ্রাস কৌশল গ্রহণের ক্ষেত্রে ভেপিংকে সমন্বিত করেছে নিউজিল্যান্ড। দেশটি ২০০৯ সালে ভেপ পণ্যের খুচরা বিক্রেতাদের অনুমোদন দেয় এবং ২০১৯ সালে এ সংক্রান্ত বিধি বিধান প্রণয়ন করে। ‘ভেপ টু কুইট’ ক্যাম্পেইনের মতো সরকার-সমর্থিত উদ্যোগ এবং ভেপিং নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ভেপিংকে ধূমপানের চেয়ে কম ক্ষতিকর বিকল্প হিসাবে প্রচারে অবদান রেখেছে। এ ধরণের জনস্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন ধূমপান রোধে ভেপিংয়ের ভূমিকা তুলে ধরে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রচলিত ভুল ধারণা দূর করে।

নীতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে কম ক্ষতির বিকল্প পণ্য যাতে সীমিত দামে ও সহজে পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ও ভোক্তা অধিকার কর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টা প্রমাণনির্ভর ক্ষতিহ্রাস কৌশলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে, যা নিউজিল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে বৈষম্যহীন অগ্রগতি এনেছে।

রিপোর্টের প্রধান লেখক ড. মারেওয়া গ্লোভার বলেন, “নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, তামাকের ক্ষতিহ্রাস বিকল্প পণ্য সহজে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হলে ধূমপান উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। নিকোটিনের বিরুদ্ধে আদর্শিক বিরোধিতা নয়, বরং সুইডেনের মতো কার্যকরী সরকারি উদ্যোগ ও জনসমর্থনের মাধ্যমেই নিউজিল্যান্ডকে এ সাফল্য এনে দিয়েছে।“

স্মোক ফ্রি সুইডেন আন্দোলনের নেতা ডক্টর ডেলন হিউম্যান, নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেছেন, “নিউজিল্যান্ড যেভাবে এত দ্রুত ধূমপানের হার হ্রাস করতে পেরেছে, তা থেকেই প্রমাণ হলো যে ধূমপান রোধে আমাদের পদ্ধতিটি কেবল কাজই করে না বরং দুর্দান্তভাবে কাজ করে। আমরা এই অসাধারণ ফলাফল পেয়ে আনন্দিত এবং বিশ্বব্যাপী এ ধরণের ক্ষতি হ্রাস কৌশলের পক্ষে সমর্থন দিয়ে যাবো।”

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন যে, ধূমপানের হার কমাতে, তথা দেশের সামগ্রিক জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নত করতে বাংলাদেশেরও উচিত নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের অনুসরণ করা। একই সঙ্গে সে অনুযায়ী একটি টেকসই ক্ষতিহ্রাস কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।

বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

মোঃ পলাশ শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষ চলাকালীন সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের সময় শেষ হয় বিকেল ৪টায় ১৫ মিনিট , কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিদিনই প্রায় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বিদ্যালয় ত্যাগ করছেন।

এ ঘটনা ঘটে ৪ আগস্ট, সোমবার। অভিযোগ পাওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো:

বিলধনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক রুবেল ও রাসেল

ভাটিমেওয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক সবুজ ও ইউসুফ

বিশুড়ীগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক হাবিব ও মিজান

উজান মেওয়াখোলা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক আইয়ুব হোসেন

এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, “শিক্ষকরা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসেন না এবং সময়ের আগেই চলে যান। এতে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠদান পাচ্ছে না।”

এ প্রসঙ্গে কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,

> “আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষক নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির র‌্যালি-সমাবেশ

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৬ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির র‌্যালি-সমাবেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। র‌্যালি শেষে সদর বাজারের বিএনপির মোড়ে সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি।

রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মখলেছুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক ছনি, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল আজম রানা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরে আলম মিঠু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন উল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মতিউর রহমান উজ্জল, সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান বেলাল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শিমুল, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন টনি, উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতি শামীম হোসেন, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ফাহিমা প্রমুখ।

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

কে এম শামীম হাসান সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫০ পিএম
সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট ২০২৫) শহরের একটি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মানবাধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়া ছিল গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ এবং সম্মানজনক।

নবনির্বাচিত সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী বলেন,

“মানবাধিকার সংস্থা মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করব। সমাজের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।”

সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন,

“আমি মানবাধিকারের আদর্শে বিশ্বাসী। নতুন কমিটির মাধ্যমে আমরা জেলার প্রতিটি স্তরে মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করবো এবং আইনি সহায়তা ও সেবার প্রসার ঘটাবো।”

নতুন জেলা কমিটিতে আরও রয়েছেন—

সিনিয়র সহ-সভাপতি: মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ সাহা নন্দন

সাংগঠনিক সম্পাদক: কে এম শামীম হাসান

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: শামসুল আলম

সহকারী সম্পাদক: মোঃ সাইদুল রহমান

অর্থ সম্পাদক: আব্দুল করিম

কার্যকরী সদস্য: মুন্নাফ সাকি

সদস্য: শহিদুল ইসলাম

কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাম দ্রুত সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এই নবগঠিত কমিটি সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিটি এলাকায় মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে – এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

error: Content is protected !!