মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ডলার কেন মোড়ল?

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম | 114 বার পড়া হয়েছে
ডলার কেন মোড়ল?

প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুদ্রা রয়েছে। যা দিয়ে দেশটির নাগরিকরা লেনদেন করে, পণ্য বা সেবা গ্রহন করেন। কিন্তু যখন দুটি দেশের, দুটি ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেন হয়, তখন সরাসরি আরেকটি পৃথক মুদ্রা বা সেই মুদ্রার তুলনায়, লেনদেন করতে হয়। আর এই তৃতীয় মুদ্রায় হিসেবে দুনিয়াজুড়ে সবচে ব্যবহৃত আর জনপ্রিয় ডলার। আর্থনীতিতে এই পুরো বিষয়কে বলা হয়, মুদ্রা বিনিময় হার।

১৯১০ দশকে স্বর্ণ মাননিয়ন্ত্রিত বিনিময় হার চালু। এ ধরনের মুদ্রাকে বলা হতো স্বর্ণমান মুদ্রা বা কমোডিটি–বেজড মানি। যার কাছে যত স্বর্ণের মজুদ, তার মুদ্রাও তত শক্তিশালী। কারণ তখন পর্যন্ত সোনার দার, বিশ্বব্যাপী সবচে স্থির সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ঠিক হয়, এক আউন্স সোনার দাম হবে ৩৫ ডলার। সেই ডলার নোটে লেখা থাকত, এই নোট যার হাতে থাকবে, সে যখন চাইবে তাকে সমমূল্যের স্বর্ণ ব্যাংক দেবে।

তবে দুটি ইস্যুতে এ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রথমটি, স্বর্ণের দামের পত। এদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মুদ্রার চাহিদা বাড়লেও সোনার মজুত সে হারে বাড়েনি। এমন বাস্তবতায়, ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে পর্যাপ্ত স্বর্ণের মজুদ না থাকলেও, দেশগুলো ইচ্ছেমতো ডলার ছাপাতে শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের অর্থনৈতিকর পাশাপাশি ধাক্কা আসে এশিয়ার অর্থনীতিতেও। এ সময় অবস্থা সামাল দিতে, ১৯৪৪ মাঠে নামে আইএমএফ। এখান থেকেই শুরু ডলারে একচ্ছত্র অধিকারী হবার গল্প।

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের পূর্ণ নির্মাণে এ সময় ‘মার্শাল প্ল্যান’ পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ইউরোপিয়ান দেশগুলিকে ডলার সাহায্য দেওয়া হয়। ফলে দেশে দেশে রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ডলারের ব্যবহার বাড়তে থাকে। আধিপত্যের সাথে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট নিক্সনের নাম জড়িত। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন মার্কিন ডলার সোনায় রূপান্তরের ক্ষমতা বাতিল করেন। এই পদক্ষেপকে বলা হয় ‘গোল্ডেন উইন্ডো’ বন্ধ করা। ইতিহাসে এই ঘটনাকে ‘নিক্সন শক’ বলে হয়। কেননা, তখন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে সব দেশই তখন বিপদে। তাই দেশ গুলোর কাছ রপ্তানির প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ছাড়া উপায় ছিলোনা।

মুলত একটি দেশ যদি অন্যকোন দেশ থেকে পণ্য-সেবা কিনতে যায়, তবে তার ডলার লাগবে। তার কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে, তাকে আরো ডলার কিনতে হবে। অর্থনীতি প্রধানতম শর্ত চাহিদা। কোন কিছুর চাহিদা বাড়লে তার দাম্ও বাড়বে। তাই ডলারে দাম্ও দেশে দেশে বাড়তে শুরু করে। আর অভ্যন্তরীন মুদ্রা দাম হারাতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াই মুদ্রার অবমূল্যায়ন।

১৯৭১ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৭ দশমিক ২৭ টাকা। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমদানির করবার প্রয়োজনের বিপরীতে বাংলাদেশের ডলারের প্রয়োজন বাড় থাকে। ডলার কিনতে চাই টাকা। টাকার যেহেতু বৈশ্বিক কোন চাহিদা নিই। তাই দিনদিন দাম হারাতে থাকে টাকা।

শুরুতে বাংলাদেশও তার রিজার্ভ হিসেবে ডলারের পাশাপাশি স্বর্ন রাখতো। তবে ২০০৮ এর বৈশ্বিক মন্দা আর ২০১৯ এর করোনার ধাক্কায় বাংলাদেশও স্বর্ণের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনে। এ কারণে আপনি শুনবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার যে মজুদ তার সিংহভাগ মার্কিন ব্যাংকগুলো ডলার কিনে মজুদ রাখা। আবার ভারত-চীনের সাথে লেনদেন বাড়ায় রুপি- চীনের মুদ্রা্ও কিনে রাখ হয়। কারণ তাদের মুদ্রা দেশে না থাকেল ডলারে লেনদেন করতে হবে। তাতে আরো খরচ বাড়বে।

টাকার মান বাড়াতে হলে উপায়: আমদানি খরচ কমিয়ে রপ্তানী বাড়ানো। সেই সাথে রেমিট্যান্স। এক কথায় ডলারে মজুদ বাড়ানো। যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিলো তখন বাজারে প্রায় ৮৬ টাকায় ডলার কেনাবেচা হতো। তবে রিজার্ভ কমার সাথে সাথেই বাড়তে থাকে ডলারে দাম। মান হারায় টাকা।

জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজল কি বললেন তার বোনদের

উজ্জ্বল বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪২ পিএম
জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজল কি বললেন তার বোনদের

সম্প্রতি আমার কিছু বোন আমাকে নিয়ে যে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে, তার বিষয়ে আমি আপনাদের সামনে কিছু বাস্তবতা তুলে ধরতে চাই।

প্রথমেই পরিষ্কার করে বলতে চাই—এই বক্তব্য দেওয়ার উদ্দেশ্য কাউকে অসম্মান করা নয়। বরং আমার প্রতি ছড়ানো ভুল ধারণা ও মিথ্যা অপবাদের বিষয়ে সত্য তুলে ধরা। মামলার আইনি জবাব আমি আইন অনুযায়ী দেবো, ইন শা আল্লাহ।

আমার বোনদের আমি সবসময় সম্মান, ভালোবাসা ও সাধ্যমতো সহযোগিতা করে এসেছি—এ কথা আমার এলাকার মানুষ ও আশেপাশের পরিচিত সবাই জানেন।

একজন বোন ক্যামেরার সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, তাঁর অসুস্থ সন্তানের খোঁজ কেউ নেয়নি। অথচ, তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য আল্লাহর দেওয়া সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আমার পক্ষ থেকে একটি বড় অংকের সহায়তা করেছি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা ভারতে পর্যন্ত করেছি। আজ ক্যামেরার সামনে তিনি যেন সব ভুলে গেলেন! পর্দায় অভিনয় আমি করি, বাস্তব জীবনে নয়। যদি জানতাম কোনোদিন বাস্তব জীবনে এমন অভিনয়ের সম্মুখীন হতে হবে, তাহলে হয়তো প্রতিটি কাজের প্রমাণ রেখে দিতাম।

আরেক বোন বলেছেন, ১১ বছর ধরে নাকি আমার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। অথচ মাত্র দুই মাস আগেই তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। আমার সাধ্যের মধ্যে সবসময়ই আমি তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এতো কিছু লিখে শেষ করা সম্ভব নয়।

৩৫ বছর পর আজ হঠাৎ তারা কেন এবং কার প্ররোচনায় এমন মিথ্যা বলছে—এ প্রশ্ন আমারও আছে। যদি সত্যিই কোনো দাবি থাকত, ভালোবাসার সম্পর্ক ধরে সরাসরি বললেই আমি তাদের ২/৩ গুণ বেশি দিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলাম। আমি ডিপজল—আমার সাধ্যের মধ্যে কাউকে ফিরিয়ে দেই না আল্লাহর রহমতে, আর তারা তো আমার আপন ভাইবোন।

যে বোন পর্দা করেন বলে প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমি আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করেছি, সেই বোনের মুখেই আজ এমন কথা শুনতে হলো—এটা সত্যিই কষ্টের।

আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করছি—মামলার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আদালতেই সত্য প্রকাশ পাবে, ইন শা আল্লাহ।
যদি আইন অনুযায়ী তারা মালিক হোন, তবে তাদের প্রাপ্য অংশ অবশ্যই তারা পাবেন।

এবং আমার প্রিয় বোনদের বলছি—তোমরা জানো আমি খুব অসুস্থ। জীবনে যতটুকু পেরেছি, আমি তোমাদের জন্য করেছি আল্লাহর রহমতে; যদি আল্লাহ আরো সময় দিতেন, হয়তো আরও করতাম। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন আচরণ সত্যিই কষ্টদায়ক।

সম্মান দেওয়ার ও সম্মান রক্ষা করার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহই সবকিছুর উত্তম বিচারক।

— আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন ডিপজল

—তার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

কামরুন নেসা তানিয়া, প্রকাশক, দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ

দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা

কামরুন নেসা তানিয়া, প্রকাশক, দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪০ পিএম
দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা

দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আপনার সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব আমাদের দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ পরিবারের শক্তি বৃদ্ধি করবে এই বিশ্বাস রাখি।

সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার আমরা সবাই মিলে আরও দৃঢ়ভাবে পালন করবো, ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদন্তে:
কামরুন নেসা তানিয়া,
প্রকাশক,
দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ।

হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৩০ পিএম
টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের সাথে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৮ডিসেম্বর)দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান আজাদ, উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ আরিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন প্রমুখ। সভায় জেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, টাঙ্গাইলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস দমন এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন,আপনাদের ইতিবাচক সহযোগিতা ও গঠনমূলক সমালোচনা আমাদের কাজে দিক নির্দেশনা দেবে। টাঙ্গাইলকে একটি নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ বাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ অভিযানসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা নবাগত এসপিকে স্বাগত জানিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং গণমাধ্যমের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান।
তিনি সকালে সুস্থ্য কামনা করেন।