মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

গ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১৯ পিএম | 177 বার পড়া হয়েছে
গ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি

রাজস্ব আয় বাড়ানো ও ভর্তুকি ব্যয় কমাতে গিয়ে শিল্পগ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে দ্রব্যমূল্যেও ওপর। ফলে, ইতোমধ্যে পেঁয়াজ, ডিম ও সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না আগে থেকেই বাড়তে থাকা চাল ও ডালের দামে। এছাড়া সরকারের মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতিতে সমন্বয় না থাকায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা খুব সফল হচ্ছে না। গত মাসেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যে কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ আরো জেঁকে বসার শঙ্কা অর্থনীতিবিদ-রাজনীতিবিদদের।

এদিকে, প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দিয়ে বর্তমানে কঠোর মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাজারে টাকার সরবরাহ কমে গেছে। সর্বনিম্ন অবস্থানে গেছে বেসরকরি খাতে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি। সংকুচিত হয়েছে কর্মসংস্থান। বৃহত্তর স্বার্থে এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও উল্টো পথে হাঁটছে সরকার।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে দেশি পেঁয়াজ, মোটা চাল, খোলা আটা, সয়াবিন তেল, পাম তেল, ডিমের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। সবজির দাম বেড়েছে গড়ে ২০ টাকার মতো। প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রতি লিটার তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এতে সরকারের মাসে রাজস্ব আয় বাড়বে সাড়ে ৫শ কোটি টাকা। শিল্পে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়ানো হয়েছে ৩৩ শতাংশ। পাশাপাশি পুরনো ব্যবহারকারীরা প্রতিশ্রুতির অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করলে একই হারে বাড়তি দাম দিতে হবে।

এতে সরকারের কী পরিমাণ ভর্তুকি কমে আসবে সেটি অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কর্পোরেশন। তবে, এর প্রভাবে কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কারণ, অনেক কারখানাই ঘোষিত লোডের অতিরিক্ত গ্যস ব্যবহার করে বাড়তি উৎপাদনের চাহিদা মেটাতে।

পেট্রোবাংলার হিসাবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শিল্পে অনুমোদিত লোডের চেয়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র (ক্যাপটিভ) ৫ কোটি ৭৬ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এই পরিমাণ গ্যাসের দাম বাড়তি হারে দিতে হবে শিল্প মালিকদের।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বেড়েছিল লিটারে ৮ টাকা। এরপরও ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়ে দাম বাড়ানোর চিঠি দিয়েছিলেন। তবে সরকার শুল্ক-করে ছাড় দিয়ে মূল্য বৃদ্ধি ঠেকিয়ে রাখে। গত ১৭ অক্টোবর ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করের হার (মূসক/ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে সরকার। নভেম্বরে আরও কমিয়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।

তেলকল মালিক সমিতি বলছে, ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে। ফলে সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতলের দাম হওয়ার কথা ১৯৮ টাকা। তবে ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৯ টাকা।গত মঙ্গলবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন।

বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এত দিন সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড় দিয়েছে। রমজান পর্যন্ত গত কয়েক মাসে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার পরিচালনার ব্যয়ের কথা বিবেচনা করে এভাবে রাজস্ব ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে।

মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ভোক্তাপর্যায়ে আজ যে মূল্যবৃদ্ধি করতে বাধ্য হলাম, আমি মনে করছি, এই বাধ্যবাধকতা সাময়িক। অদূর ভবিষ্যতে এই দাম কমানো সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ভ্যাট অব্যাহতি আরেকটু দীর্ঘায়িত করা যেত কি না, সরকার সেই চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল, এ মুহূর্তে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া সরকারের জন্য খুবই সংবেদনশীল বিষয়।

এদিকে বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কেনা গেছে। তবে গত চার দিন ধরে দাম বাড়ছে। গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। জানা গেছে, চার দিন আগে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) জানিয়েছে, দেশি পেঁয়াজের দর কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। এ কারণে মৌসুমের শুরু থেকেই দাম গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তবে এখন দাম বেড়ে গেছে।

মগবাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির বাদামি এক ডজন ডিম বড় বাজারে ১২০-১২৫ টাকা এবং মহল্লার মুদি দোকানে ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, এক সপ্তাহে ডজনে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা কমায় বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে।

বুধবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০-২৬০ টাকায়। চালের দাম অনেক দিন ধরেই চড়া। নতুন করে দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে টিসিবি জানাচ্ছে, খোলা আটার সর্বনিম্ন দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। ডালের দাম আগের মতোই বেশি। নতুন করে হেরফের হয়নি। চিনির দামও আগের মতো রয়েছে, কেজি ১২০ টাকার আশপাশে। এদিকে বেড়েছে সবজির দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ শেষ। এখন গ্রীষ্মের সবজির চাহিদা বেশি। নতুন সবজি আসছে, দাম চড়া। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৪টি সবজির দামের হিসাব দেয়।

গত বুধবারের হিসাবে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে ১৪ থেকে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত।

জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজল কি বললেন তার বোনদের

উজ্জ্বল বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪২ পিএম
জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজল কি বললেন তার বোনদের

সম্প্রতি আমার কিছু বোন আমাকে নিয়ে যে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে, তার বিষয়ে আমি আপনাদের সামনে কিছু বাস্তবতা তুলে ধরতে চাই।

প্রথমেই পরিষ্কার করে বলতে চাই—এই বক্তব্য দেওয়ার উদ্দেশ্য কাউকে অসম্মান করা নয়। বরং আমার প্রতি ছড়ানো ভুল ধারণা ও মিথ্যা অপবাদের বিষয়ে সত্য তুলে ধরা। মামলার আইনি জবাব আমি আইন অনুযায়ী দেবো, ইন শা আল্লাহ।

আমার বোনদের আমি সবসময় সম্মান, ভালোবাসা ও সাধ্যমতো সহযোগিতা করে এসেছি—এ কথা আমার এলাকার মানুষ ও আশেপাশের পরিচিত সবাই জানেন।

একজন বোন ক্যামেরার সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, তাঁর অসুস্থ সন্তানের খোঁজ কেউ নেয়নি। অথচ, তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য আল্লাহর দেওয়া সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আমার পক্ষ থেকে একটি বড় অংকের সহায়তা করেছি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা ভারতে পর্যন্ত করেছি। আজ ক্যামেরার সামনে তিনি যেন সব ভুলে গেলেন! পর্দায় অভিনয় আমি করি, বাস্তব জীবনে নয়। যদি জানতাম কোনোদিন বাস্তব জীবনে এমন অভিনয়ের সম্মুখীন হতে হবে, তাহলে হয়তো প্রতিটি কাজের প্রমাণ রেখে দিতাম।

আরেক বোন বলেছেন, ১১ বছর ধরে নাকি আমার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। অথচ মাত্র দুই মাস আগেই তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। আমার সাধ্যের মধ্যে সবসময়ই আমি তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এতো কিছু লিখে শেষ করা সম্ভব নয়।

৩৫ বছর পর আজ হঠাৎ তারা কেন এবং কার প্ররোচনায় এমন মিথ্যা বলছে—এ প্রশ্ন আমারও আছে। যদি সত্যিই কোনো দাবি থাকত, ভালোবাসার সম্পর্ক ধরে সরাসরি বললেই আমি তাদের ২/৩ গুণ বেশি দিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলাম। আমি ডিপজল—আমার সাধ্যের মধ্যে কাউকে ফিরিয়ে দেই না আল্লাহর রহমতে, আর তারা তো আমার আপন ভাইবোন।

যে বোন পর্দা করেন বলে প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমি আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করেছি, সেই বোনের মুখেই আজ এমন কথা শুনতে হলো—এটা সত্যিই কষ্টের।

আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করছি—মামলার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আদালতেই সত্য প্রকাশ পাবে, ইন শা আল্লাহ।
যদি আইন অনুযায়ী তারা মালিক হোন, তবে তাদের প্রাপ্য অংশ অবশ্যই তারা পাবেন।

এবং আমার প্রিয় বোনদের বলছি—তোমরা জানো আমি খুব অসুস্থ। জীবনে যতটুকু পেরেছি, আমি তোমাদের জন্য করেছি আল্লাহর রহমতে; যদি আল্লাহ আরো সময় দিতেন, হয়তো আরও করতাম। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন আচরণ সত্যিই কষ্টদায়ক।

সম্মান দেওয়ার ও সম্মান রক্ষা করার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহই সবকিছুর উত্তম বিচারক।

— আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন ডিপজল

—তার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

কামরুন নেসা তানিয়া, প্রকাশক, দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ

দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা

কামরুন নেসা তানিয়া, প্রকাশক, দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪০ পিএম
দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা

দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আপনার সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব আমাদের দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ পরিবারের শক্তি বৃদ্ধি করবে এই বিশ্বাস রাখি।

সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার আমরা সবাই মিলে আরও দৃঢ়ভাবে পালন করবো, ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদন্তে:
কামরুন নেসা তানিয়া,
প্রকাশক,
দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ।

হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৩০ পিএম
টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের সাথে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৮ডিসেম্বর)দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান আজাদ, উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ আরিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন প্রমুখ। সভায় জেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, টাঙ্গাইলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস দমন এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন,আপনাদের ইতিবাচক সহযোগিতা ও গঠনমূলক সমালোচনা আমাদের কাজে দিক নির্দেশনা দেবে। টাঙ্গাইলকে একটি নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ বাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ অভিযানসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা নবাগত এসপিকে স্বাগত জানিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং গণমাধ্যমের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান।
তিনি সকালে সুস্থ্য কামনা করেন।