ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় কোরআনের আইন বাস্তবায়ন অপরিহার্য


আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন ন্যায়, সত্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে।
কিন্তু মানুষ যখন নিজের মনগড়া আইন ও স্বার্থনির্ভর বিচারব্যবস্থায় আবদ্ধ হয়, তখন সমাজে অশান্তি, অন্যায় ও অবিচার ছড়িয়ে পড়ে।
অতএব, প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কোরআনের আইন বাস্তবায়নই একমাত্র সমাধান।
إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالإِحْسَانِ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচার ও উত্তম আচরণের আদেশ দেন।”
— সূরা আন-নাহল (১৬:৯০)
📖 এই আয়াত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, ন্যায় প্রতিষ্ঠা আল্লাহর আদেশ।
যেখানে কোরআনের বিধান চলবে, সেখানেই প্রকৃত ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে।
মানুষের তৈরি আইন যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়, স্বার্থে কলঙ্কিত হয়।
কিন্তু কোরআনের আইন চিরন্তন, নিরপেক্ষ ও আল্লাহপ্রদত্ত।
এ আইনেই দুর্বল-শক্তিশালী, ধনী-গরিব, শাসক-প্রজা— সকলের জন্য সমান বিচার নিশ্চিত হয়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন বিচার করতেন, তখন তিনি আত্মীয়, প্রভাবশালী বা ধনীর প্রতি কোনো পক্ষপাত দেখাতেন না।
তিনি বলেছেন —
“তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলো ধ্বংস হয়েছে এজন্য যে, তারা উচ্চপদস্থদের অপরাধে ছাড় দিত এবং দুর্বলদের শাস্তি দিত।”
— সহিহ বুখারী
📖 এই হাদীস প্রমাণ করে যে, প্রকৃত ন্যায়বিচার কখনো পক্ষপাত গ্রহণ করে না।
যেখানে ন্যায় আছে, সেখানে শান্তি থাকে।
যেখানে অন্যায়, সেখানে অরাজকতা।
তাই কোরআনের আইনের বাস্তবায়নই পারে অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি ও অবিশ্বাসের অন্ধকার দূর করতে।
ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা শুধুমাত্র বিচারকের দায়িত্ব নয়, বরং প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।
আমরা যদি সমাজ, রাষ্ট্র ও ব্যক্তিজীবনে কোরআনের আদেশকে বাস্তবায়ন করি,
তাহলেই প্রতিষ্ঠিত হবে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিময় সমাজ, যেমনটি আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য চেয়েছেন।