সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

অবহেলিত বরিশাল-৪ আসনের আশার প্রদীপ: মানবিক নেতা এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন

মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৮:৩৮ পিএম | 37 বার পড়া হয়েছে
অবহেলিত বরিশাল-৪ আসনের আশার প্রদীপ: মানবিক নেতা এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম নদীবিধৌত জনপদ বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার। এই অঞ্চলটির মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, নদীভাঙন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, শিক্ষার অভাব, চিকিৎসার অপ্রতুলতা, আর্থিক দারিদ্র্য—সবকিছু মিলিয়ে এক অনন্য বঞ্চনার ইতিহাস। কিন্তু এই সব কষ্টের মাঝেও একজন সাহসী, মানবিক, নির্লোভ এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব বারবার আলো ছড়িয়েছেন। তিনি হলেন—এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন।

একটি ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক পরিচয়

এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি একজন আইনজীবী, সমাজকর্মী ও জনমানুষের অভিভাবক। রাজনৈতিক জীবনে বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে তিনি সুপরিচিত হলেও, তার জনপ্রিয়তার মূল কারণ হচ্ছে মানবিকতা, সততা ও নির্ভীকতা।

জাতীয় রাজনীতিতে যখন অনেকে সুবিধাবাদ ও নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত, তখন হেলাল উদ্দিন নীরবে-নিভৃতে কাজ করে গেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। তিনি রাজনীতিকে ব্যবহার করেন জনসেবা ও গণঅধিকার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে।

মানুষের পাশে ছায়ার মতো

দুর্যোগ হোক, নদীভাঙন হোক, কিংবা চিকিৎসার অভাবে প্রান্তিক মানুষের মৃত্যুর হুমকি—সব পরিস্থিতিতেই দেখা যায় এম হেলাল উদ্দিনকে। কখনো চিকিৎসা ব্যয় বহনে এগিয়ে যান, কখনো গরীব ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান বই-খাতা কিনে দিয়ে, আবার কখনো আইনি জটিলতায় পড়া হতদরিদ্র পরিবারকে দেন নিঃশুল্ক সহায়তা।

তিনি বিশ্বাস করেন—

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু মঞ্চে বক্তৃতা দিলেই হয় না, প্রয়োজনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়।”

একটি উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকার স্বপ্নচারী প্রতিনিধি

মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার সাধারণ মানুষ আজও সুপেয় পানি, নিরাপদ রাস্তাঘাট, ভালো মানের চিকিৎসা এবং শিক্ষা থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত। নদীভাঙনের করালগ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে জনপদ, বসতভিটা। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নের কোনো ছাপ পড়ে না। এমতাবস্থায়, এম হেলাল উদ্দিন হয়ে উঠেছেন এই এলাকার মানুষের “আশার বাতিঘর”।

তার উদ্যোগে এরই মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে বহু মানবিক উদ্যোগ চালু হয়েছে। আইনি সচেতনতা ক্যাম্প, বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প, এবং নদীভাঙন রোধে নাগরিক মতামত কর্মসূচি—এসব তার ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের অংশ।

সাহসী কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক আদর্শ

তিনি সব সময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, এবং আইনের শাসনের পক্ষে স্পষ্ট বক্তব্য রেখে চলেছেন। সরকার বিরোধী দমন-পীড়নের সময়েও তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, আদালতে আইনি লড়াই চালিয়েছেন, প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন, এবং রাজনৈতিক কর্মীদের পাশে থেকেছেন।

সাম্প্রতিক সময়েও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন আইনি লড়াইয়ে, যা শেষ পর্যন্ত অব্যাহতির মাধ্যমে রায় পেয়েছে। এটি তার ন্যায়বিচারের প্রতি অটল অবস্থানের পরিচয় বহন করে।

তরুণ সমাজের অনুপ্রেরণা

রাজনীতিতে মূল্যবোধের সংকট যখন প্রকট, তখন এম হেলাল উদ্দিনের মতো নেতা তরুণদের মাঝে আদর্শ, সাহস ও সেবার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তিনি কখনো লোভের কাছে মাথা নত করেননি, বরং নীতির প্রশ্নে আপসহীন থেকেছেন।

তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন—

দেশ গড়তে চাইলে আগে নিজেকে তৈরি করতে হবে। রাজনীতিতে ভালো মানুষ দরকার।”

মানুষের চাওয়া—তিনি হোন আগামী দিনের সাংসদ

বরিশাল-৪ আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন, গ্রাম ও শহরে আজ মানুষের মুখে মুখে একটি কথা—

“এই মানুষটি আমাদের এমপি হলে আমরা একটা ভরসার জায়গা পাবো।”

দলের তৃণমূল থেকে সাধারণ জনগণ মনে করে, এমন একজন সৎ ও মানবিক নেতাকে জাতীয় নেতৃত্বে আনাই সময়ের দাবি।

এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একটি স্বপ্ন, একটি সম্ভাবনা, একটি পরিবর্তনের নাম। অবহেলিত বরিশাল-৪ আসনের মানুষ তার মাঝে দেখছে উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও মানবিক নেতৃত্বের দীপ্ত আশাবাদ।

তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়—

মানবিকতা যার হাতিয়ার, রাজনীতি যার দায়িত্ব—তিনি এম হেলাল উদ্দিন।”

এম এ সিদ্দিক, খাগড়াছড়ি জেলা

মাটিরাঙ্গা জোন কর্তৃক বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদান

এম এ সিদ্দিক, খাগড়াছড়ি জেলা প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
মাটিরাঙ্গা জোন কর্তৃক বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদান

২৩ জুন ২০২৫, সকাল ০৯:৩০ মিনিটে, মাটিরাঙ্গা জোনের আওতাধীন শিশকবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের অন্তর্গত থংথংপাড়া এলাকায় একটি বিশেষ মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এই কর্মসূচির আওতায়: রাবার বাগান মন্দির ও ভজেন্দ্রপাড়া মন্দির নির্মাণের জন্য মোট ০৮ বান টিন প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৩০ পরিবারকে রেশন সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। শিশকবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।স্থানীয় পাহাড়ি জনগণের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হয়।

চিকিৎসা সেবা প্রদানে দায়িত্ব পালন করেন: ক্যাপ্টেন মোঃ মুঈদ-উল করিম চৌধুরী, আরএমও, মাটিরাঙ্গা জোন
ডাঃ ফারিয়া, মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

 

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট’এ সাংবাদিকদের ৫ দিন ব্যাপি নিরাপদ সড়ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:৪০ এএম
জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট’এ সাংবাদিকদের ৫ দিন ব্যাপি নিরাপদ সড়ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন SIBE-NIMC প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক পাঁচদিন ব্যাপি (১৮-২২ জুন) প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জুন) দুপুর ৩টার দিকে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুহম্মদ হিরুজ্জামান (এনডিসি), মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিউট।

এর আগে ১৮ জুন ২০২৫, প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মাহবুবা ফারজানা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মুহম্মদ হিরুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রের ৪র্থ স্থম্ভ হিসাবে গণমাধ্যম নিরাপদ সড়ক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সাংবাদিকগণ তাদের মেধা, মনন ও পেশাদারিত্ব দিয়ে সড়ক বিষয়ক রিপোর্টিংএ নতুনত্ব নিয়ে আসবেন এবং জনকল্যাণে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করবেন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের, একসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকবৃন্দ প্রশিক্ষক হিসাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ অনুশীলন রিপোর্টিং করেন ও নিরাপদ সড়ক বিষয়ক গবেষণা রিভিউ করেন। একক ও দলীয় উপস্থাপনা, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক অনুশীলনের মাধ্যমে শিখন প্রক্রিয়ায় স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রশিক্ষণার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

রাজনীতিতে থাকতে গেলে চামড়া মোটা করতে হবে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১০:২৫ এএম
রাজনীতিতে থাকতে গেলে চামড়া মোটা করতে হবে

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাস রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এবং সেখান থেকে সরে আসার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। একই সাথে নিজের অভিনয় জীবনের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন।
২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন, রাজনীতি তার জন্য নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলে যোগ দিয়েই বুঝে গিয়েছিলাম রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। কিছুই বুঝি না। রাজনীতিতে থাকতে গেলে চামড়া মোটা করতে হবে, সেটা বুঝেছিলাম।’
তিনি আরও জানান, দলে থাকাকালীন তিনি মাত্র তিন থেকে চারবার প্রচারে গিয়েছিলেন এবং এর জন্য কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি।
একসময় ‘সিরিজ কিং’ নামে পরিচিত সৌরভ দাসের সিরিজে উপস্থিতি ইদানীং অনেকটাই কমে গেছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আসলে যেমন সিরিজ আমার পছন্দ সেই ধরনের বিষয় পাচ্ছি না বা আমায় ডাকা হচ্ছে না। বুঝতে পারছি, সিরিজের গল্পের ধরনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে হয়তো আমাকে মানাচ্ছে না কিংবা আমি মানিয়ে নিতে পারছি না।’
তবে ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করার স্বপ্ন ছিল তার এবং বর্তমানে সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় তিনি অভিযোগ করার কোনো কারণ দেখছেন না। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোতে সৌরভের অভিনীত চরিত্রগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসছে না। এই প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘হ্যাঁ, সেটা এখনও পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু এটা ভাবার কারণ নেই যে ভবিষ্যতে হবে না।’