রাজারহাটে ধান ভাঙ্গা মিলে চাল কুড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চম্পার


রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউপি’তে চম্পা রানী রায় ধান ভাঙ্গা মিলে চাল কুড়া করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
জানা গেছে, সুরুজ মিয়া (৪০), পিতা-মোঃ বাতেন মিয়া, সাং-কুমরগঞ্জ, ইউপি-উমর মজিদ, থানা-রাজারহাট, জেলা-কুড়িগ্রাম আমার প্রতিবেশী হয়। পারিবারিকভাবে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়া ঝগড়া বিবাদসহ মনোমালিন্য চলিয়া আসিতেছিল। কাজের সন্ধানে আমার স্বামী বিভিন্ন জায়গায় কাজকর্ম করিয়া বেড়ায়। বিবাদী পারিবারিক শত্রুতার জের ধরিয়া দীর্ঘদিন ধরে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়া আসিতেছিল। বিবাদীর কু-প্রস্তাবে আমি রাজী না থাকায় আমার বড় ‘ধরনের ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা করিতে থাকে।
এমতাবস্থায় গত ইং ১৮/০৬/২০২৫ইং তারিখ দুপুর ১/ অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় উমর মজিদ ইউনিয়নের কুমরগঞ্জ মৌজাস্থ আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে আমি চালের কুড়া কুটতে বিবাদীর ধান ভাঙ্গা মিলে আমার সন্তান সনজীতা (১৮ মাস) কে নিয়ে সেখানে যাই ‘বৃষ্টির দিন হওয়ায় সেখানে কেউ ছিল না, ধান ভাঙ্গা মিলে গিয়ে চালের কুড়া কুটা শেষ হইলে আমি হালিয়া গামলার কুড়া নেওয়ার সময় বিবাদী স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। আমাকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে এবং স্বস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার কাপড় খুলিয়া যায় এবং আমাকে মাটিতে সয়াইয়া ধর্ষনের চেষ্টা করে। আমার -সন্তান প্রচন্ড ভয় পাইয়া যায় এবং এতে করিয়া আমি উঠতে গিয়া ওয়ালে পড়িয়া যাই ও কোমড়ে আঘাত প্রাপ্ত হই। আমি অসহায়, নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি। আমার শোর চিৎকারে উপস্থিত সাক্ষী ১। শ্রী পরেশ চন্দ্র রায় (৫৫), পিতা-মৃত সূর্য্যকান্ত রায়, ২। শ্রী সুবাস সেন (৬২), পিতা-মৃত অমনী সেন, ৩। স্বপ্না রানী রায় (৩৭), স্বামী-ফুলপদ রায়, সর্বসাং-কুমরগঞ্জ,
ডাক-ফরকেরহাট, ইউপি-উমর মজিদ, থানা-রাজারহাট, জেলা-কুড়িগ্রামগনসহ আরো অনেকেই ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তছলিম উদ্দিন (বিপি ইন্সপেক্টর) নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামি ধরার কাজ অব্যাহত চলছে।