শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

ধরাছোঁয়ার বাইরে জাপা নেতারা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ২:২১ পিএম | 53 বার পড়া হয়েছে
ধরাছোঁয়ার বাইরে জাপা নেতারা

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী জাতীয় পার্টি (জাপা) নেতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আওয়ামী লীগ আমলে ক্ষমতার অংশীদার জাপা নেতাদের বিরুদ্ধে এখনো কার্যত বর্তমান সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। ক্ষোভ রয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের মাঝে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পরও জাপা এখনো মূলত আওয়ামী লীগের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে বলে অভিযোগ এসব দলের নেতাদের।

তারা বলছেন, পতিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত মিলেমিশে দেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের অন্যতম সহযোগী প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া জাপা। তবে শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক মাঠে কোনো কার্যক্রম নেই জাপার। আর দলটির নেতাকর্মীদের অনেকেই লেবাস পাল্টানোর চেষ্টায় রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জাপার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে দলটির চেয়ারম্যান জি এম (গোলাম মোহাম্মদ) কাদের দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেছেন, যারা তার বিচার চান তারা কোনো অপরাধের ভিত্তিতে বিচার চাইছেন সেটি জানা দরকার। বিচারের মুখোমুখি হতে রাজি আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এখনো করছি, আগামীতেও অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ কোন পরিস্থিতিতে জাপা ভোটে গিয়েছিল তা অনেকবার পরিষ্কার করেছি। গত সংসদ নির্বাচনের আগে ইন্ডিয়া থেকে ফিরে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ না করা ভুল কিছু ছিল না। এ ধরনের বৈঠকের খবর আসলে কেউ পাবলিকলি বলে না।

দলের প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, দলের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে গড় রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি জন্ম থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সখ্যতা ছিল। জাপা নেতারা সব আমলেই যেন ক্ষমতার সুবিধাভোগী। সবশেষ আওয়ামী লীগের চার মেয়াদের ক্ষমতার শেষদিন পর্যন্ত জাপার নেতারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার স্বাদ নিয়েই ছিলেন।

তবে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বেশ বেকায়দায় জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীরা। বিগত চার বাবের সংসদে যারা মন্ত্রী-এমপি ছিলেন তাদের অনেকে এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেকে প্রকাশ্যে থাকলেও যেন ‘সুশীল’ সমাজের ভূমিকা পালন করছেন। আর রাজনৈতিক মাঠে খোঁজ নেই দলটির নেতাকর্মীদের। এদিকে, দলটিকে স্বৈরাচারের সহযোগী আখ্যা দিয়ে জাপা নেতাদের বিচারও দাবি করেছে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি।

মুন্সীগঞ্জে বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে তা নিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসকের

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩০ এএম
মুন্সীগঞ্জে বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে তা নিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসকের

– মুন্সীগঞ্জের জেলায় বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েদের কে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে একশ্রেণির বখাটে ছেলেরা গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পালিয়ে যায় এমন প্রশ্নের অভিযোগ উঠেছে সাধারণ জনসম্মুখেে তা এনিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসক।

এছাড়াও রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন জায়গায় বর ও কনের জন্মের তারিখ লিপিবদ্ধ করা হয় না। এমনকি বিবাহ পড়ানো ব্যক্তি, সাক্ষী, কনে ও কাজির সই ও থাকে না। বেআইনি প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের জন্য এ সব অভিনব কৌশল অবলম্বন করা হয় বলে কাজিদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের দুর্নীতি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাল্যবিয়ে হলো অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আনুষ্ঠানিক অথবা অনানুষ্ঠানিক বিয়ে। বাংলাদেশে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ২১ বছর। এর আগে বিয়ে করলে সেটি বাল্যবিয়ে বলে গণ্য হবে।

বাল্যবিয়ের শাস্তি এই আইনের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক কোনও নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তার জন্য দুই বছর কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে উভয় দণ্ড পেলে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনও নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে এক মাসের আটকাদেশ কিংবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের শাস্তি পাবেন। বাল্যবিয়ে সংশ্লিষ্ট বাবা-মাসহ অন্যান্য অভিভাবকের শাস্তি আইনের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, বাবা-মা অভিভাবক অথবা অন্য কোনও ব্যক্তি, আইনগতভাবে বা আইনবহির্ভূতভাবে কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর কর্তৃত্ব সম্পন্ন হয়ে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করলে অথবা করার অনুমতি বা নির্দেশ দিলে অথবা নিজেদের অবহেলার কারণে বিয়ে বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তার জন্য তিনি দুই বছর অথবা ন্যূনতম ছয় মাস কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে উভয় দণ্ড পেলে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত মহোদয় বলেন ,আমাদের বাল্যবিবাহ সচেতনতামূলক প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক আমরা কার্যক্রম চলমান রয়েছে ও বিভিন্ন সকল ইউএনওদের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কনভিন্স বিষয়টি নজরে রাখার নির্দেশনা রয়েছে বলে এতথ্য নিশ্চিত করেন।

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রপতির সাথে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ

জান্নাতুল ফেরদৌস আশাঃ সৌদি আরব প্রতিনিধি- প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৮ এএম
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রপতির সাথে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ

সৌদি আরবের নেতৃত্বের নির্দেশনায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ বৃহস্পতিবার তেহরানের রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রপতি ডঃ মাসুদ পেজেশকিয়ানের সাথে সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতের সময়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং তাঁর রাজকীয় মহামান্য প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ, ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানান, পাশাপাশি ইরানের সরকার এবং ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের জন্য অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির কামনা করেন। পরিবর্তে, রাষ্ট্রপতি পেজেশকিয়ান দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম এবং তাঁর রাজকীয় মহামান্য ক্রাউন প্রিন্সের প্রতি তার শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে সৌদি-ইরান সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়গুলি অনুসন্ধান করা হয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং সেগুলি সমাধানের জন্য করা প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

লিবিয়া এলএনএ স্থল বাহিনী ৬০৩ তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করেছে

মোঃ নাসির আলীঃ- লিবিয়া প্রতিনিধি- প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৬ এএম
লিবিয়া এলএনএ স্থল বাহিনী ৬০৩ তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করেছে

লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির স্থল বাহিনীর প্রধান (২১) ব্রিগেডের সাথে যুক্ত ৬০৩তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বশেষ সামরিক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

চিফ অফ স্টাফের মতে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল এর যুদ্ধ দক্ষতা এবং মাঠ প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা।
এতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে এই সহায়তা লিবিয়ার সেনা ইউনিটগুলি বিকাশের একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এসেছে, উল্লেখ করে যে ৬০৩ তম ব্যাটালিয়নকে সর্বশেষ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা এলএনএ জেনারেল কমান্ডের স্বদেশ রক্ষা এবং উচ্চ দক্ষতা এবং কার্যকারিতার সাথে দক্ষিণ লিবিয়াকে সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
চিফ অফ স্টাফ জোর দিয়ে বলেন যে এই পদক্ষেপটি প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমন্বিত কৌশলের অংশ, যা যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় বাহিনীর সক্ষমতা নিশ্চিত করে এবং সারা দেশে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি সুসংহত করতে অবদান রাখে।
এটি আরও জোর দিয়ে বলেছে যে জেনারেল কমান্ড বর্তমান এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সামরিক অবকাঠামো আধুনিকীকরণ এবং তার কর্মীদের কর্মক্ষমতা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে।

error: Content is protected !!