মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নারী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমেছে ঈদের বাজার

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ১১:৫৬ পিএম | 129 বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমেছে ঈদের বাজার

সিরাজগঞ্জ জেলার চলনবিল খ্যাত তাড়াশ উপজেলার শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। তাড়াশ উপজেলার পৌর বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের কাপড়ের দোকান ও জুতার দোকান গুলোতে এবার জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে । তবে কসমেটিক, কাপড় ও জুতার দোকান গুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরুষ ক্রেতাদের চেয়ে নরী ক্রেতাদের ভীড় বেশি। উপজেলার পৌর বাজারের মার্কেট, বিপণী বিতান, ফুটপাতের দোকানগুলোতেও মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সাধারণ ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বাজারের দোকানগুলোর সামনে সাজানো হয়েছে রঙিন আলোকসজ্জা।
আজ ২৮ শে মার্চ শুক্রবার উপজেলার পৌর বাজারে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাহারি ডিজাইনের পোশাক সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। রোজার প্রথমদিকে বিক্রি ভাল না হলেও এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় আগেই ঈদের বাজার লেগেছে। গত ৫/৬ দিন ধরেই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মার্কেটগুলো। বেচাবিক্রিও ভালো হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এবারের ঈদে পোষাকের মূল্য একটু বেশি। পোশাক ক্রয় করতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন। পোশাকের পাশাপাশি জুতার দোকানেও উপচে পড়া ভিড় করছেন ক্রেতারা। শিশু, নারী, তরুণ- তরুণীরা বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা ক্রয় করেছেন। এবার চলনবিলের বাজারগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারী ক্রেতারাও মার্কেটে ভরপুর। তাদের পছন্দের জামা, কাপড়, শাড়ি, জুতা ও প্রসাধনী ক্রয় করে খুশি মনে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। এবার ঈদ বাজারে নারী ক্রেতাদের বেশি ঝোঁক বাহারি থ্রি-পিসের দিকে। নায়রাকাট, গারারা, সারারা, পরমা পোশাক, কামদানি ফুলকাড়ি, চুণ্ডিসুতি, রাজমহল, কাতান থ্রি-পিস, কাতান শাড়ি, জেসান, টাইমলেস, বেনারসি, ভিক্টোরিয়া, গ্যালাক্সি, বুটিকস, কারচুপি, লেহেঙ্গা, পার্টিগাউন, স্যামুসিল্ক, মেসার্স সানি এন্ড মিটি সু ষ্টোরের মালিক সেলিম রেজা বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে নানা ধরনের ভাল মানের জুতান তুলেছি দোকানে। বাইশ রোজার পর থেকেই বিক্রি ভাল হচ্ছে। পৌর বাজারের কামাল ফ্যাশনের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ কামাল হোসেন বলেন, রমজানের প্রথমদিকে বেচাকিনা কম ছিল। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতাদের সমাগম বাড়ছে এবং বিক্রিও বেশি হচ্ছে।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ বাজারে মৌ ফ্যাশনের মালিক কদ্দুস বলেন, এবার ঈদের বেচাকেনা খুব ভাল। বিশেষ করে নারীদের পোশাক হিসেবে থ্রি-পিসই সর্বোচ্চ বিক্রি হচ্ছে তার দোকানে। পাশাপাশি শাড়িও বিক্রি হচ্ছে।
তাড়াশ পৌর বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি বলেন, ক্রেতাদের সুবিধার্থে যানজট এড়াতে পুলিশ এবং বাজার কমিটির পক্ষ থেকে শহর এবং উপজেলার বাজার গুলোর প্রবেশমুখে ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল সীমিত করা হয়েছে। যার কারণে ক্রেতা বিক্রেতারা সহজেই কেনাবেচা করতে পারছেন।

জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজল কি বললেন তার বোনদের

উজ্জ্বল বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪২ পিএম
জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজল কি বললেন তার বোনদের

সম্প্রতি আমার কিছু বোন আমাকে নিয়ে যে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে, তার বিষয়ে আমি আপনাদের সামনে কিছু বাস্তবতা তুলে ধরতে চাই।

প্রথমেই পরিষ্কার করে বলতে চাই—এই বক্তব্য দেওয়ার উদ্দেশ্য কাউকে অসম্মান করা নয়। বরং আমার প্রতি ছড়ানো ভুল ধারণা ও মিথ্যা অপবাদের বিষয়ে সত্য তুলে ধরা। মামলার আইনি জবাব আমি আইন অনুযায়ী দেবো, ইন শা আল্লাহ।

আমার বোনদের আমি সবসময় সম্মান, ভালোবাসা ও সাধ্যমতো সহযোগিতা করে এসেছি—এ কথা আমার এলাকার মানুষ ও আশেপাশের পরিচিত সবাই জানেন।

একজন বোন ক্যামেরার সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, তাঁর অসুস্থ সন্তানের খোঁজ কেউ নেয়নি। অথচ, তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য আল্লাহর দেওয়া সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আমার পক্ষ থেকে একটি বড় অংকের সহায়তা করেছি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা ভারতে পর্যন্ত করেছি। আজ ক্যামেরার সামনে তিনি যেন সব ভুলে গেলেন! পর্দায় অভিনয় আমি করি, বাস্তব জীবনে নয়। যদি জানতাম কোনোদিন বাস্তব জীবনে এমন অভিনয়ের সম্মুখীন হতে হবে, তাহলে হয়তো প্রতিটি কাজের প্রমাণ রেখে দিতাম।

আরেক বোন বলেছেন, ১১ বছর ধরে নাকি আমার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। অথচ মাত্র দুই মাস আগেই তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। আমার সাধ্যের মধ্যে সবসময়ই আমি তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এতো কিছু লিখে শেষ করা সম্ভব নয়।

৩৫ বছর পর আজ হঠাৎ তারা কেন এবং কার প্ররোচনায় এমন মিথ্যা বলছে—এ প্রশ্ন আমারও আছে। যদি সত্যিই কোনো দাবি থাকত, ভালোবাসার সম্পর্ক ধরে সরাসরি বললেই আমি তাদের ২/৩ গুণ বেশি দিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলাম। আমি ডিপজল—আমার সাধ্যের মধ্যে কাউকে ফিরিয়ে দেই না আল্লাহর রহমতে, আর তারা তো আমার আপন ভাইবোন।

যে বোন পর্দা করেন বলে প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমি আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করেছি, সেই বোনের মুখেই আজ এমন কথা শুনতে হলো—এটা সত্যিই কষ্টের।

আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করছি—মামলার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আদালতেই সত্য প্রকাশ পাবে, ইন শা আল্লাহ।
যদি আইন অনুযায়ী তারা মালিক হোন, তবে তাদের প্রাপ্য অংশ অবশ্যই তারা পাবেন।

এবং আমার প্রিয় বোনদের বলছি—তোমরা জানো আমি খুব অসুস্থ। জীবনে যতটুকু পেরেছি, আমি তোমাদের জন্য করেছি আল্লাহর রহমতে; যদি আল্লাহ আরো সময় দিতেন, হয়তো আরও করতাম। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন আচরণ সত্যিই কষ্টদায়ক।

সম্মান দেওয়ার ও সম্মান রক্ষা করার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহই সবকিছুর উত্তম বিচারক।

— আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন ডিপজল

—তার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

কামরুন নেসা তানিয়া, প্রকাশক, দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ

দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা

কামরুন নেসা তানিয়া, প্রকাশক, দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪০ পিএম
দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা

দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আপনার সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব আমাদের দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ পরিবারের শক্তি বৃদ্ধি করবে এই বিশ্বাস রাখি।

সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার আমরা সবাই মিলে আরও দৃঢ়ভাবে পালন করবো, ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদন্তে:
কামরুন নেসা তানিয়া,
প্রকাশক,
দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ।

হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৩০ পিএম
টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের সাথে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৮ডিসেম্বর)দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান আজাদ, উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ আরিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন প্রমুখ। সভায় জেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, টাঙ্গাইলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস দমন এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন,আপনাদের ইতিবাচক সহযোগিতা ও গঠনমূলক সমালোচনা আমাদের কাজে দিক নির্দেশনা দেবে। টাঙ্গাইলকে একটি নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ বাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ অভিযানসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা নবাগত এসপিকে স্বাগত জানিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং গণমাধ্যমের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান।
তিনি সকালে সুস্থ্য কামনা করেন।