শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২

জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর অংশগ্রহণ — “এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক”

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম | 40 বার পড়া হয়েছে
জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর অংশগ্রহণ — “এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক”

 

মো. শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় এক অধ্যায় যোগ হতে যাচ্ছে আজ, ১৭ অক্টোবর ২০২৫। বিকেল চারটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান—যা রাষ্ট্রীয় ঐক্য, গণতান্ত্রিক চেতনা ও নাগরিক অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই ঐতিহাসিক আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের কৃতী সন্তান ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী, যিনি প্রখ্যাত সমাজসেবক আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরীর পুত্র।

ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারা নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি লিখেছেন—“এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক। জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশ হতে পারা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন।”

তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না-এর প্রতি, যার অনুপ্রেরণা ও সহায়তায় এই মহতি আয়োজনের অংশ হতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা আজকের এই ঐতিহাসিক আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, যিনি জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন, সুশাসন ও ঐক্যের নতুন অঙ্গীকার ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।

ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর এই অংশগ্রহণ শুধু তার ব্যক্তিগত গৌরব নয়—এটি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া তথা সমগ্র অঞ্চলের মানুষের জন্যও এক গর্বের বিষয়। স্থানীয়রা মনে করেন, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক অধ্যায়ে তাদের এলাকার একজন তরুণ আইনজীবীর উপস্থিতি নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ইতোমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাষ্ট্রীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন, এবং সম্মিলিত নাগরিক অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ময়মনসিংহে ফ্রি হেলথ ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত

মকবুল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:২১ পিএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ময়মনসিংহে ফ্রি হেলথ ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিভাগের নির্দেশনায় ফ্রি মেডিকেল হেলথ ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১৭অক্টোবর শুক্রবার সকাল নয়টা হইতে বিকাল চারটা পর্যন্ত ফ্রি হেলথ ক্যাম্পিং এ চিকিৎসা দেওয়া হয়। ময়মনসিংহ জেলা সদরে চর হরিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সকল ধরনের রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান স্পাইন সার্জন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ময়মনসিংহ, ৪ সদর আসনের এমপি মনোনীত পদপ্রার্থী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন এর নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বৃন্দ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উক্ত ফ্রি চিকিৎসা ব্যবস্থা আয়োজনে বিপুলসংখ্যক রোগীদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক।
আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সদর উপজেলা ৬ নং ইউনিয়নও মহানগরের ৩১,৩২,৩৩ ওয়ডের রাসেল হাসান হাফেজ মাওলানা মমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক,, ফারুক মুন্সি,হেলাল উদ্দিন, সোয়াইব আহমেদ,হাঃমোহাম্মদ আল-আমিন সহ আরও অনেকই।এ আয়োজন এর আয়োজকবৃন্দ কে অধ্যাপক ডাক্তার নাসির উদ্দিন ধন্যবাদ মোবারকবাদ জানান।

দুই বছর কোমায় থেকে কিশোর আবিরের চিরবিদায়।

মোঃ ওমরফারুক(সানি), পাবনাঃ প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:১৫ পিএম
দুই বছর কোমায় থেকে কিশোর আবিরের চিরবিদায়।

 

মোটরসাইকের দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর কোমায় থাকার পর মারা গেছে কিশোর আবির হাসান। গতকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সাড়ে সাতটার দিকে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। আবির দৈনিক সমকাল এর চাটমোহর প্রতিনিধি ও চাটমোহর প্রেসক্লাব এর কার্যকরী সদস্য শামীম হাসান মিলনের একমাত্র ছেলে। তার মৃত্যুতে পরিবার স্বজন সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১৭ বছর। আবির চাটমোহর সরকারি আরসিএন অ্যান্ড বিএসএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। এক বোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে আবির ছিল ছোট।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, আজ শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় মধ্য শালিখা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে তাকে বৃ-গুয়াখড়া সম্মিলিত কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সাংবাদিক মিলনের ছেলে আবিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে চাটমোহর প্রেসক্লাব।

২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর শুক্রবার বাবার সাথে জুমআর নামাজ আদায় করেছিল আবির। নামাজ শেষে বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয় সে। চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়। তাকে প্রথমে চাটমোহর হাসপাতালে, সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নেয়া হয় ঢাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্সেস ও হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দফা অপারেশন করা হলেও জ্ঞান ফেরেনি আবিরের। সেই থেকে কোমায় ছিল সে।

পাবনা-ঢাকা ট্রেন চলাচলে শঙ্কা ও ষড়যন্ত্র দেখছে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন

মোঃ ওমরফারুক(সানি), পাবনাঃ প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:০৯ পিএম
পাবনা-ঢাকা ট্রেন চলাচলে শঙ্কা ও ষড়যন্ত্র দেখছে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন

 

পাবনাবাসীর বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-পাবনা ট্রেন চলাচলে তালবাহানা ও পিছিয়ে দেওয়ার শঙ্কা ও ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন। প্রয়োজনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও পাবনার আব্দুল হামিদ রোডসহ ৪ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।

শ‎নিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১৬ দফা দাবির মধ্যে ৪ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সংগঠনটির সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা।

‎অনুষ্ঠানের শুরুতে দৈনিক সমকাল এর চাটমোহর প্রতিনিধি, চাটমোহর প্রেসক্লাব এর কার্যকরী সদস্য শামীম হাসান মিলন এর একমাত্র ছেলে আবির হাসানের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

‎সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু নিয়ে যদি টালবাহানা করা হয় বা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর পরিনতি খুব একটা ভালো হবে না। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাবনা-ঢাকা ট্রেন সার্ভিস চালু করতে হবে। অন্তত একটা ট্রেন দিয়ে পাবনাবাসীর স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়ন করুন।

‎ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে খয়েরচরে ফেরিঘাট স্থানান্তরে জন্য প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে জেলার সকল রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে হয়েছিলেন। প্রকল্প পরিদর্শনের নামে গভীর রাতে প্রকল্প পরিদর্শন করা কোন অন্য ঘটনা থাকতে পারে। সেখানে রেল সচিবের বক্তব্যে অস্পষ্টতা তৈরি করেছেন। সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে পারেনি। কোন কোন প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল উপরে উপরে চালুর কথা বললেও ভিতরে ভিতরে নিরুৎসাহিত করছে। কোন কোন প্রভাবশালী বলতেছে যে নির্বাচনের পর যেন ট্রেন উদ্বোধন করা হোক। আসলে এটাতো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

‎তিনি আরও বলেন, সেদিন খয়েরচরে আলোচনা সভায় রাজনৈতিক নেতারা পাবনা টার্মিনাল থেকে ফোর লেন সড়ক বাস্তবায়নের কথাও বলেননি। রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পর জন্য হলেও ঈশ্বরদীতে বিমানবন্দর চালুর বিষয়েও কেউ বলেনি। পরিবহন সেক্টরের কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাবনা-ঢাকা ট্রেন সার্ভিস চালু করতে হবে।

‎ এ সময় পাবনা প্রেসিক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার বলেন, পাবনা থেকে ঢাকায় ট্রেন সার্ভিস চালু নিয়ে বহু নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। ভিতরে ভিতরে অনেক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাদের পাবনার উন্নয়নের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে যেন কোনভাবে কালক্ষেপন করা না হয়। আমরা এখন চাঁদ দেখতে শিখেছি। আপনারা আর চাঁদ দেখা শিখায়েন না। আমরা পাবনাবাসী সোচ্চার হয়েছি।

‎এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি মাসুদ খান, নির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান সোহেল, ইরফান কাদের চৌধুরী, তাজুল ইসলাম, ড. ওমর ফারুক প্রমুখ।