রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

রহনপুরে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

মোঃ শাহিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৮ এএম | 77 বার পড়া হয়েছে
রহনপুরে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

ঈদের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে ঢাকাগামী বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদের দাবি, সাধারণ দিনগুলোর তুলনায় এখন জনপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এই অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধির সমালোচনা করছেন ঢাকা ফিরে যাওয়া অনেক যাত্রী।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে রহনপুর বাস টার্মিনাল ঘুরে বিষয়টি জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রহনপুর বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও তা অত্যধিক নয়। অনেকেই অগ্রিম টিকিটের জন্য বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরছেন। তবে, অধিকাংশ যাত্রীর অভিযোগ টিকিট কাউন্টার থেকে তাদের কাছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকা দিয়েই টিকিট কিনে যাত্রা করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘চাঁপাই ট্রাভেলস’ কাউন্টার থেকে তিনি ৮৫০ টাকার স্থলে ১১০০ টাকা নিয়ে টিকিট ক্রয় করেছেন। এভাবে চারটি টিকিটে প্রায় ১০০০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

একই ধরনের অভিযোগ করেছেন আরও বেশ কিছু যাত্রী। তাদের দাবি, ঈদের সময়ে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানি স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে ২০০-৩০০ টাকা বেশি আদায় করছে।

এ বিষয়ে চাঁপাই ট্রাভেলস কাউন্টার মালিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রহনপুর-ঢাকাগামী বাসগুলো যাত্রীপূর্ণ থাকলেও ফেরত আসার সময় প্রায়ই খালি চলে আসে। এই লোকসানের ভার সামলাতেই কিছুটা বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

তবে যাত্রীরা বলছেন, প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে তদারকি করলে হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়ে যাবে।

নরসিংদীর হাজিপুরে আলোচিত নেতা স্বপনের দেশত্যাগের প্রস্তুতি ,সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে পালানোর গুঞ্জনে এলাকায় তোলপাড়

তালাত মাহামুদ নরসিংদীর প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮:৩০ পিএম
নরসিংদীর হাজিপুরে আলোচিত নেতা স্বপনের দেশত্যাগের প্রস্তুতি ,সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে পালানোর গুঞ্জনে এলাকায় তোলপাড়

নরসিংদী সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দোসর ও বিতর্কিত যুবলীগ নেতা স্বপন বিশ্বাস কে ঘিরে আবার ও উত্তাল জনমত। অভিযোগ উঠেছে, তিনি তার ভিটেমাটি, মিল-কারখানা এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পত্তি একে একে বিক্রি করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তার ভাই ভারত চলে গেছে বলে ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

স্বপন বিশ্বাস নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং স্থানীয় যুবলীগের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্থদাতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি বিপুল বিত্তসম্পদের মালিক হন এবং ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে বহু অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

সম্প্রতি তার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মিল-কারখানা ও বসতভিটা বিক্রির বিষয়টি জনসম্মুখে আসার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, স্বপন বিশ্বাস তার সমস্ত সম্পদ নগদ করে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চিরতরে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন।

এলাকাবাসীরা জানান, “স্বপনের পরিবার ইতোমধ্যে ভারতে গিয়ে বসবাস শুরু করেছে। এখন স্বপন নিজেও দেশের সকল সম্পদ বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছে। আমরা সরকারের কাছে তার অবিলম্বে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানাচ্ছি।”

স্থানীয় সূত্র মতে, স্বপনের বিরুদ্ধে বিগত দিনে একাধিক অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ এখন তার আচরণ ও সম্পদ বিক্রির ঘটনা প্রমাণ করছে, কিছু না কিছু গোপন অপকর্মের প্রমাণ মুছে ফেলতেই তিনি দেশত্যাগের ছক কষছেন।

এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সচেতন মহল মনে করছেন, তদন্ত করে সত্য উদঘাটন ও প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে।

এলাকার সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “স্বপন বিশ্বাস আওয়ামী লীগ সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেছে। এখন সবকিছু গুটিয়ে পালানোর মানেই হচ্ছে—তার অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।”

স্থানীয়রা স্বপন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, তাকে আইনের আওতায় এনে জবাবদিহির মুখোমুখি করা না গেলে এর চেয়ে বড় দৃষ্টান্তহীনতা আর হতে পারে না। এ ব্যাপারে স্বপন বিশ্বাসের বক্তব্য নিতে গেলে তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি এলাকাবাসী জানিয়েছেন তিনি নরসিংদীতে থাকেন

কাঁঠালিয়া টিউবওয়েল চুরির হিড়িক, থানায় সাধারণ ডায়েরি 

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮:২৭ পিএম
কাঁঠালিয়া টিউবওয়েল চুরির হিড়িক, থানায় সাধারণ ডায়েরি 

কাঁঠালিয়া উপজেলা টিউবওয়েল চুরির হিড়িক পড়েছে। চোরদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বসতঘর মসজিদ-মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের টিউবওয়েলও।

জানা গেছে, ৩০ জুলাই উপজেলার সদর ৪ নং ইউনিয়ন দক্ষিণ আউরা গ্রাম থেকে ১০টির বেশি টিউবওয়েল চুরি হয়েছে। এছাড়া, হাস- মুরগী, রড সহ বিভিন্ন মালাম চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দক্ষিন আউরা গ্রামের রফিকুল ইসলাম পলাশ জমাদ্দার।

সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা চিশতীয়া দরবার শরীফের টিউবওয়েল, জমাদ্দার বাড়ির জামে মসজিদের টিউবওয়েল চুরি করে নিয়ে গেছে। একইভাবে ওই এলাকার আলম হাওলাদারের বসতঘরের টিউবওয়েলটিও চুরি হয়ে গেছে। এছাড়া, খাদিজাতুল কুবরা মাদ্রাসার টিউবওয়েল সহ আরো অনেকে’র”

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম পলাশ জমাদ্দার জানান, দক্ষিন আউরা গ্রাম থেকে ১০টির বেশি টিউবওয়েল চুরি হয়েছে। চোরদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বসতঘরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের টিউবওয়েলও।

মাদকসেবী ও ছিচকে চোরেরা একের পর এক টিউবওয়েল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকার গরীব ও দরিদ্র পরিবারগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মাদ্রাসা ও মসজিদ বসতঘর টিউবওয়েল চুরির ফলে শিশু শিক্ষার্থী ও মুসল্লিরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

তারা আরও জানান, শুষ্ক মৌসুমে খাল-পুকুরে পর্যাপ্ত পানি থাকেনা এবং টিউবওয়েল চুরি হয়ে যাওয়া পানির চরম সংকট দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা ও নজরদারির দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।

বিআরটিসির  চেয়ারম্যানের কাছে নিসআ’র ৮ দফা দাবি 

মো: রাসেল মোল্লা নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮:২৪ পিএম
বিআরটিসির  চেয়ারম্যানের কাছে নিসআ’র ৮ দফা দাবি 

কুড়িল–গাউসিয়া রুটে শিক্ষার্থীবান্ধব ও নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিতের দাবিতে ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন–নিসআ’ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা রোববার (৩ আগস্ট) সকালে ঢাকার গাবতলীতে বিআরটিসি  চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়।

এসময় সংগঠনের জেলা সভাপতি রাহাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া আক্তারসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দেন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—

হাফ পাস বাধ্যতামূলক করা, বাস স্টাফদের অসৌজন্যমূলক আচরণে দুঃখপ্রকাশ ও শাস্তির ব্যবস্থা, নারী যাত্রীদের সম্মান নিশ্চিতকরণ, নির্ধারিত সিডিউল ও ভাড়া কার্যকর, কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা টানানো, হয়রানি ও অনিয়মের দায় স্বীকার, ঝুঁকিপূর্ণ বাস চলাচল বন্ধ এবং কাউন্টারে লাঠিয়াল বাহিনী নিষিদ্ধ করা।

বিআরটিসি  চেয়ারম্যান দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

error: Content is protected !!