খ: আউয়াল টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি
নিঃস্ব সর্বহারা আমি
==============
🖊️হায়দার খালীদ
নিঃস্ব সর্বহারা আমি,
অস্তিত্ব শুধু ক্ষুধার আর্তনাদে গড়া,
বুকের ভেতর জমে ওঠা বেদনার সুর
তবুও থামে না জীবনের খোঁজে হাঁটা।
জীবন যেন এক অন্তহীন প্রান্তর,
যেখানে বীজ বুনেও ফসল ওঠে না,
শ্রমের ঘামে ভিজে মাটি উর্বর হয়
কিন্তু শস্য যায় মালিকের গোলায় ভরা।
আমি হেঁটে যাই শহরের পথে,
উঁচু দালান আকাশ ছোঁয়া সোনালী সাজে,
কিন্তু আমার কুটির ভাঙা, ছেঁড়া ত্রিপলের ছাদ
ঝড় এলে টিকে থাকে কেবল প্রার্থনার মাঝে।
আমার সন্তান ক্ষুধার্ত—
তার চোখে কেবল ভাতের একমুঠো স্বপ্ন,
আর অন্য প্রান্তে শিশুদের হাতে চকোলেট,
সোনার চামচে ভরে যায় ভোজের যজ্ঞ।
এই বৈষম্যের পৃথিবীতে
আমি শুধু পরিত্যক্ত এক নাম,
যে নাম শুনে শাসক হাসে,
ধনীরা তোলে অহংকারের ধ্বজাধ্বজা গর্বিত গ্রাম।
তবুও আমি থেমে যাই না,
কারণ শ্রম আমার শক্তি,
ভালোবাসা আমার সাহস,
মানবতা আমার মুক্তি।
আমি স্বপ্ন দেখি—
একদিন শস্যের মাঠে সবার সমান অধিকার,
ক্ষুধা মুছে যাবে পৃথিবী থেকে,
শিশুর মুখে ফুটবে হাসি অবারিত, উদার।
আমি সর্বহারা—
কিন্তু আমার কণ্ঠ রুদ্ধ নয়,
এই কণ্ঠে জাগবে বিপ্লবের সুর,
মিথ্যে শৃঙ্খল ছিঁড়ে বলবে—
“মানুষ বাঁচুক, মানুষ জাগুক,
মানুষ হোক মানুষের পুর।”
যে শাসন করে নিপীড়ন,
যে সমাজ দেয় বৈষম্যের দংশন,
তাদের পতন হবেই একদিন,
যেমন রাত শেষে সূর্য ওঠে
দিগন্তে রক্তিম রঙে।
আমি নিঃস্ব সর্বহারা,
কিন্তু আমি হাল ছাড়ি না কোনোদিন—
কারণ ইতিহাসের প্রতিটি রক্তফোঁটা
আমার মতো সর্বহারারই সংগ্রামে লেখা বিন্দু বিন্দু দিন।