প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠের সৈনিক মোঃ ইউসুফ আলী

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

রাজনীতির মূল ভিত্তি যেখানে আদর্শ, ত্যাগ, সাহসিকতা ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক—সেই মূল্যবোধের বাস্তব উদাহরণ হলেন মোঃ ইউসুফ আলী। বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়নের মানুষ তাঁকে চেনেন একজন সাহসী, নির্ভীক ও আদর্শবান নেতার পরিচয়ে। তিনি বর্তমানে জামগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু এ পথচলা শুরু হয়েছিল ছাত্র রাজনীতি থেকে—তিনি ছিলেন একজন তুখোড় ও সচেতন সাবেক ছাত্রনেতা।

ছাত্রজীবনেই জাতীয়তাবাদী দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং জনাব তারেক রহমানের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন মোঃ ইউসুফ আলী। ছাত্রাবস্থা থেকেই সাহস, বুদ্ধিমত্তা ও সংগঠনের প্রতি আন্তরিকতা দিয়ে নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর রাজনীতি কখনো ক্ষমতা কিংবা সুবিধার জন্য নয়—বরং আদর্শ, ত্যাগ ও সংগ্রামের পথে চলাই তাঁর মূল চালিকাশক্তি।

বর্তমানে তিনি শুধুমাত্র জামগ্রাম ইউনিয়ন পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নন—বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোশারফ হোসেনের একজন একনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। উল্লেখ্য, মোশারফ হোসেন বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও এই এলাকার মাটি ও মানুষের নির্ভরতার নাম।

মোঃ ইউসুফ আলী সেই সময়ও মাঠে ছিলেন, যখন বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক মিথ্যা মামলা, হামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন ও হুমকি চলছিল। দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে তিনি কখনও ভয় পাননি, পিছু হটেননি। স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে বহু নেতা-কর্মী যখন আত্মগোপনে, তখন তিনি বুক চিতিয়ে জামগ্রাম বাজারে আওয়ামী লীগের প্রভাবের সামনে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যেও মাঠে থেকে কর্মীদের পাশে থেকেছেন, দলীয় কর্মসূচি পালন করেছেন, এবং নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে নিরন্তর কাজ করে গেছেন।

তাঁর এই নির্ভীকতা, নিষ্ঠা ও আদর্শিক অবস্থান জামগ্রামের প্রতিটি ওয়ার্ডে তাঁকে তৃণমূলের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত করেছে। তিনি নেতা হিসেবে এমনই একজন যাঁর দরজা সব কর্মীর জন্য খোলা। কোনো পদ-পদবি তাঁর ব্যক্তিত্বকে বদলাতে পারেনি, বরং দায়িত্বের গভীরতা তাঁকে আরও মানবিক ও সংগঠক করে তুলেছে।

তৃণমূলের কর্মীদের একটাই চাওয়া—এমন পরিশ্রমী, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকে এবার জামগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃত্বে আনা হোক। কারণ তাঁর মধ্যে আছে ছাত্ররাজনীতি থেকে সংগঠন পরিচালনা পর্যন্ত দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, ত্যাগের বাস্তব নজির, সাংগঠনিক দূরদৃষ্টি এবং নেতৃত্বের দৃঢ়তা। কর্মীরা মনে করে, মোঃ ইউসুফ আলীর নেতৃত্বেই জামগ্রাম ইউনিয়নের যুবদল আরও সংগঠিত, গতিশীল ও কর্মক্ষম হয়ে উঠবে।

শুধু দলীয় নয়—মোঃ ইউসুফ আলী সাধারণ মানুষের সাথেও নিবিড় যোগাযোগ ও সম্পর্ক বজায় রাখেন। প্রতিটি আন্দোলন, প্রতিটি সংকটে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার কথায়,

“দল যদি আমাকে দায়িত্ব দেয়, আমি এই ইউনিয়নের প্রতিটি যুবককে জাতীয়তাবাদী চেতনায় সংগঠিত করে একটি শক্তিশালী ইউনিয়ন যুবদল গড়ে তুলব।”

তার এই আত্মবিশ্বাস ও আন্তরিকতাই আজ তাঁকে নেতা হিসেবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মুখে পরিণত করেছে।

শেষ কথা:
রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা কিংবা উচ্চপদে থাকা নয়, একজন নেতা যখন মাঠের কর্মীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করেন—তখনই তিনি হয়ে ওঠেন তৃণমূলের আসল গর্ব। মোঃ ইউসুফ আলী সেই গর্বের নাম, সেই নেতৃত্বের প্রতীক—যিনি আদর্শকে জীবনের দর্শনে রূপ দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টাঃ মো: সাদেকুল ইসলাম (কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংগঠক), সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল হান্নান মিলন, সহ সম্পাদকঃ মোঃ মিজানুর সরকার, প্রকাশকঃ কামরুন নেছা তানিয়া, ক্যাপশন নিউজ এবং ভিডিও এডিটরঃ মো: রাজিবুল করিম রোমিও (এম,এস,এস - সমাজ কর্ম)

কর্পোরেট অফিসঃ রাজ্জাক প্লাজা (৩য় তলা), মগবাজার, ঢাকা-১২১৭, বার্তা কার্যালয়ঃ বি-১৭, রূপায়ণ করিম টাওয়ার, ৮০, কাকরাইল ভিআইপি রোড, ঢাকা-১০০০

G.L NO: 90/26

প্রিন্ট করুন