
ঝালকাঠির পূর্ব গুয়াটন এলাকায় বাবুই পাখির শতাধিক বাসা ধ্বংস করে তালগাছ কাটার ঘটনায় অবশেষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিবেশপ্রেমীদের দীর্ঘ ক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে দায়ের করা হয়েছে দুটি মামলা। একটি থানায়, অন্যটি বন বিভাগে।
রবিবার রাতেই পৃথক দুইটি মামলার প্রধান আসামি মোবারক আলীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। মামলার পরপরই মোবারক আলী ঝালকাঠি থেকে পালিয়ে পাশের জেলা পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার একটি গ্রামে তার বোনের বাড়িতে আত্মগোপনে চলে যায়।
থানায় মামলা রুজুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবারক আলীকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তথ্য নিশ্চিত করেছে ঝালকাঠি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মাহমুদ।
উল্লেখ্য, ঝালকাঠির গুয়াটন গ্রামে মোবারক আলী ফকিরের মালিকানাধীন জমিতে একটি সরকারি তালগাছে দীর্ঘদিন ধরে শতাধীক বাসা বানিয়ে বাবুই পাখী বাস করতো।
গত শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে সেই তালগাছটি কেটে ফেলা হয়। মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে পাখীর বাসাগুলো। ভেঙে যায় শতাধিক ডিম, আর মারা যায় অসংখ্য ছোট ছোট বাবুই ছানা।
এ সংক্রান্ত সংবাদ ফেসবুক ও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হয়। যা নজরে আসে প্রশাসন, পাখীপ্রেমী ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর। যারা গাছটি কেটে ফেলেছে, তাদের প্রতি ধিক্কার জানায় সাধারণ মানুষও।
এ ঘটনার দু’দিন পরে রবিবার (২৯ জুন) স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান বাদি হয়ে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ এনে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর ২২।
এ মামলায় মোবারক আলী, মিজানুর রহমান এবং ফারুক হোসেন নামে তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। অন্যদিকে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে POR নং ০১/ঝাল/২০২৪-২৫ নামীয় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।