
লিবিয়ার এক শিশুকে তার মায়ের কোলে করে চিকিৎসার খোঁজে সমুদ্রে ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে…
একটি হৃদয়বিদারক দৃশ্য যা এমন একটি দেশে নৈতিক পতনের মাত্রা প্রকাশ করে যেখানে করুণার সব চিহ্নই হারিয়ে গেছে।
কোথায় সেইসব কর্মকর্তা যাদের লক্ষ লক্ষ টাকা আছে এবং যারা একজন মাকে তার সন্তানকে নিয়ে পালাতে দেয়?
কোথায় সেই জাতি যারা আর তার দুর্বলতম মানুষের চিকিৎসা করতে পারে না?
সমস্যা একজনও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির নয়।
সমস্যা হলো এমন একটি ব্যবস্থার, যা তার অর্থের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে,
এবং এমন মানুষদের, যারা অন্যায় দেখতে এবং বলতে অভ্যস্ত, “আমাদের করার কিছু নেই।”
শিশুটি মারা যায়নি, কিন্তু আমাদের ভেতরে লজ্জা মারা গেছে, অনুভূতি মারা গেছে, এবং নাগরিককে প্রথমে রাখার ধারণা মারা গেছে।
আমি এমন একটি প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত যারা তার মেয়ের মধ্যে তাদের মেয়ে দেখতে পায়,
এবং তার বেদনায় আমাদের সকল নীরবতার বিরুদ্ধে একটি বাক্য দেখতে পায়।
কিন্তু আমরা একটি শোকগাথা লিখছি না…
আমরা একটি সূচনা লিখছি।
✔ সমাধান কী?
• অভাবী শিশু এবং পরিবারের জন্য একটি বিনামূল্যে জাতীয় চিকিৎসা নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা।
• “চিকিৎসার অধিকার” আইন জারি করুন যা গুরুতর ক্ষেত্রে যেকোনো অবহেলাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে।
• শো প্রকল্প থেকে রাষ্ট্রীয় তহবিল সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে পুনর্বিন্যস্ত করুন।
প্রতিটি লিবীয় শিশুর জন্য একটি জরুরি স্বাস্থ্য তহবিল প্রতিষ্ঠা করুন, যা জন্মের পরপরই সক্রিয় করা হবে।
এগুলো প্রতিশ্রুতি নয়… এটা একটা দায়িত্ব।
হয় আমরা এখনই উঠব… নয়তো আগামীকাল শোক করার অধিকারও হারাব।