
ভালোবাসা না দুর্বলতা? প্রবাসে কষ্টে জর্জর এক স্বামীর নীরব আর্তনাদ
“সব জেনেও সংসারটা টিকিয়ে রাখছি—শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে।”
ইতালিতে প্রবাসী এক বাংলাদেশি যুবকের জীবনের করুণ কাহিনি সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে হৃদয়বিদারক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আট বছর ধরে দেশের মাটিতে থেকে তাঁর স্ত্রী অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত—তা জেনেও তিনি কিছু বলেননি। বলার সুযোগও দেননি। কারণ, তিনি শুধু চান তাঁর সংসারটা যেন ভেঙে না যায়।
এই নীরব স্বামীর ভাষায়:
“সে আমার শখের মানুষ। নিজের ঘরে নিজেই অচেনা।”
প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ পাঠান স্ত্রীর একাউন্টে, যেন সংসারের খরচে কোনো ঘাটতি না হয়। অথচ এই সংসারে তার নিজের জন্য কোনো জায়গা নেই। শুধু তাই নয়, সন্তানদের প্রকৃত পিতৃত্ব নিয়েও আজ তার মনে সন্দেহ—তবুও কখনো খোঁজ নেননি। কারণ সত্য জানতে ভয় পান। ভয় পান, জানলে হয়তো আর সহ্য করতে পারবেন না।
🥀 অবহেলার ইতিহাস:
শুধু স্ত্রীর দিক থেকেই নয়, এই মানুষটি শৈশব থেকে ভালোবাসা বঞ্চিত।
তার কথায় উঠে এসেছে—
“আমার জন্মটাই যেন অপ্রত্যাশিত ছিল। বাবা-মা চেয়েছিলেন মেয়ে সন্তান। আমি ছেলে হয়ে জন্মেছি। সেই অপরাধে ছোটবেলা থেকেই অবহেলার শিকার।”
😔 সম্মানহীন আত্মত্যাগ:
শ্বশুরবাড়ির পরিবারের দিক থেকেও মেলে না কোনো সম্মান। তারা সমাজের উচ্চস্থানে থেকেও তার মতো একজন প্রবাসীকে ‘তুচ্ছ’ মনে করে। তির্যক কথা, অবজ্ঞা—সবই যেন তার প্রাত্যহিক জীবন।
🧱 “আমি একটা পাথর হয়ে গেছি”
শেষে তিনি বলেন,
“ভালোবাসি এখনো। এটাই আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। আমি আসলে আর জানি না কী করব, কোথায় যাব। আমি এখন কাঁদতেও পারি না।”
📌 মানসিক স্বাস্থ্য ও পারিবারিক মূল্যবোধের সংকট
এই ঘটনা আমাদের সামনে তুলে ধরে এক ভয়ংকর বাস্তবতা—প্রবাসীদের ব্যক্তিগত যন্ত্রণার কথা আমরা কতটা শুনি বা বুঝি? অর্থ পাঠানোর দায়ের বাইরে তাদের আবেগ, ভালোবাসা, যন্ত্রণা—সব কি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে?
🕊️ সংবেদনশীল এই স্বীকারোক্তি একেবারে নামহীন, পরিচয়হীন, কিন্তু তাঁর যন্ত্রণার ভার যেন আমাদের সবার হৃদয়ে বাজে।
📢 আপনিও যদি এমন নীরব যন্ত্রণায় ভোগেন, তাহলে কাউকে বলুন। সহায়তা চাইতে দ্বিধা করবেন না।