
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম নদীবিধৌত জনপদ বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার। এই অঞ্চলটির মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, নদীভাঙন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, শিক্ষার অভাব, চিকিৎসার অপ্রতুলতা, আর্থিক দারিদ্র্য—সবকিছু মিলিয়ে এক অনন্য বঞ্চনার ইতিহাস। কিন্তু এই সব কষ্টের মাঝেও একজন সাহসী, মানবিক, নির্লোভ এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব বারবার আলো ছড়িয়েছেন। তিনি হলেন—এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন।
একটি ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক পরিচয়
এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি একজন আইনজীবী, সমাজকর্মী ও জনমানুষের অভিভাবক। রাজনৈতিক জীবনে বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে তিনি সুপরিচিত হলেও, তার জনপ্রিয়তার মূল কারণ হচ্ছে মানবিকতা, সততা ও নির্ভীকতা।
জাতীয় রাজনীতিতে যখন অনেকে সুবিধাবাদ ও নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত, তখন হেলাল উদ্দিন নীরবে-নিভৃতে কাজ করে গেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। তিনি রাজনীতিকে ব্যবহার করেন জনসেবা ও গণঅধিকার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে।
মানুষের পাশে ছায়ার মতো
দুর্যোগ হোক, নদীভাঙন হোক, কিংবা চিকিৎসার অভাবে প্রান্তিক মানুষের মৃত্যুর হুমকি—সব পরিস্থিতিতেই দেখা যায় এম হেলাল উদ্দিনকে। কখনো চিকিৎসা ব্যয় বহনে এগিয়ে যান, কখনো গরীব ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান বই-খাতা কিনে দিয়ে, আবার কখনো আইনি জটিলতায় পড়া হতদরিদ্র পরিবারকে দেন নিঃশুল্ক সহায়তা।
তিনি বিশ্বাস করেন—
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু মঞ্চে বক্তৃতা দিলেই হয় না, প্রয়োজনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়।”
একটি উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকার স্বপ্নচারী প্রতিনিধি
মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার সাধারণ মানুষ আজও সুপেয় পানি, নিরাপদ রাস্তাঘাট, ভালো মানের চিকিৎসা এবং শিক্ষা থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত। নদীভাঙনের করালগ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে জনপদ, বসতভিটা। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নের কোনো ছাপ পড়ে না। এমতাবস্থায়, এম হেলাল উদ্দিন হয়ে উঠেছেন এই এলাকার মানুষের “আশার বাতিঘর”।
তার উদ্যোগে এরই মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে বহু মানবিক উদ্যোগ চালু হয়েছে। আইনি সচেতনতা ক্যাম্প, বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প, এবং নদীভাঙন রোধে নাগরিক মতামত কর্মসূচি—এসব তার ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের অংশ।
সাহসী কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক আদর্শ
তিনি সব সময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, এবং আইনের শাসনের পক্ষে স্পষ্ট বক্তব্য রেখে চলেছেন। সরকার বিরোধী দমন-পীড়নের সময়েও তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, আদালতে আইনি লড়াই চালিয়েছেন, প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন, এবং রাজনৈতিক কর্মীদের পাশে থেকেছেন।
সাম্প্রতিক সময়েও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন আইনি লড়াইয়ে, যা শেষ পর্যন্ত অব্যাহতির মাধ্যমে রায় পেয়েছে। এটি তার ন্যায়বিচারের প্রতি অটল অবস্থানের পরিচয় বহন করে।
তরুণ সমাজের অনুপ্রেরণা
রাজনীতিতে মূল্যবোধের সংকট যখন প্রকট, তখন এম হেলাল উদ্দিনের মতো নেতা তরুণদের মাঝে আদর্শ, সাহস ও সেবার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তিনি কখনো লোভের কাছে মাথা নত করেননি, বরং নীতির প্রশ্নে আপসহীন থেকেছেন।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন—
দেশ গড়তে চাইলে আগে নিজেকে তৈরি করতে হবে। রাজনীতিতে ভালো মানুষ দরকার।”
মানুষের চাওয়া—তিনি হোন আগামী দিনের সাংসদ
বরিশাল-৪ আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন, গ্রাম ও শহরে আজ মানুষের মুখে মুখে একটি কথা—
“এই মানুষটি আমাদের এমপি হলে আমরা একটা ভরসার জায়গা পাবো।”
দলের তৃণমূল থেকে সাধারণ জনগণ মনে করে, এমন একজন সৎ ও মানবিক নেতাকে জাতীয় নেতৃত্বে আনাই সময়ের দাবি।
এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একটি স্বপ্ন, একটি সম্ভাবনা, একটি পরিবর্তনের নাম। অবহেলিত বরিশাল-৪ আসনের মানুষ তার মাঝে দেখছে উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও মানবিক নেতৃত্বের দীপ্ত আশাবাদ।
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়—
মানবিকতা যার হাতিয়ার, রাজনীতি যার দায়িত্ব—তিনি এম হেলাল উদ্দিন।”