
স্বামীর থেকে আপন কেউ হয় না — সত্যিই কি তাই?
একটু মন খুলে ভাবুন, আর হৃদয়ে হাত রেখে পড়ুন…
*অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন*:
১. যে ছেলেটা নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, চেনা-জানা সব পেছনে ফেলে আপনাকে জীবনের সঙ্গী করেছে—সে কি আপনার চেয়ে কম ত্যাগ করেছে?
একদিন সে মা-বাবার ছেলের পরিচয় থেকে ‘কারো স্বামী’তে রূপান্তরিত হয়েছে—শুধু আপনাকে ভালোবেসে।
২. আপনার চোখের জল মুছাতে যে হাতটা আগে এগিয়ে আসে, সেটা কি কারো বাবার হাত? না, সেটা স্বামীর।
কারণ, সে জানে আপনার কান্নার মানে, বুঝে আপনার চুপ করে যাওয়া, অনুভব করে আপনার না বলা কথা।
৩. একটা মেয়ে যখন অসুস্থ হয়, সবাই পরামর্শ দেয়, কিন্তু স্বামীটা চুপচাপ পাশে বসে সারা রাত জেগে ভাবে—‘কি করলে আমার মানুষটা ঠিক হবে?’
এই চিন্তার গভীরতায় আপন ভাব না খুঁজে পাওয়া কি সম্ভব?
৪. অনেক সময় হয়তো কথা কম হয়, ভালোবাসা প্রকাশে কৃপণ, কিন্তু তবুও রাতের খাবার গরম করে রেখে দেওয়া, ভিজে কাপড় ছায়ায় শুকাতে দেওয়া—এসব ছোট ছোট কাজেই লুকিয়ে থাকে তার নিঃশব্দ ভালোবাসা।
৫. আপনার স্বামীই একমাত্র মানুষ, যে আপনাকে দেখে প্রতিদিন বদলাতে থাকে—আপনার অভ্যাসে নিজেকে মানিয়ে নেয়, আপনার ছায়া হয়ে ওঠে।
প্রেমের চাইতেও বড় এই “সহযোদ্ধা”র ভূমিকা।
৬. যখন সবাই ভুল বোঝে, ভুল ধরে, তখন হয়তো কড়া কথা বলেও সবার আড়ালে আপনাকে সবচেয়ে বেশি বুঝতে চেষ্টা করে—সে মানুষটিই আপনার স্বামী।
৭. এই সমাজে অনেক সম্পর্ক ভেঙে যায়, বিশ্বাস হারিয়ে যায়, তবু যদি একজন স্বামী তার স্ত্রীর পাশে থেকে যায়—তবে তার চেয়ে বড় আপন কেউ নয়।
ভালোবাসা মানে শুধুই গোলাপ আর মোমবাতি নয়, ভালোবাসা মানে—কেউ একজন আড়ালে আপনার জন্য সব হারিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আর সেই মানুষটার নাম—স্বামী।