
গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শরিয়তপুরের জাজিরা টোলপ্লাজার বাইপাস সড়কে ঢাকাগামী একটি চলন্ত বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের। এতে ইজিবাইকে থাকা এক নারী যাত্রী আহত হন এবং তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
ঘটনার পরপরই মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে আসে চার যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, তারা সিনেমার ভিলেনের মতো আচরণ করে বাসচালকের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। বাসচালক জানান, ইজিবাইকটির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি এবং যাত্রী হালকাভাবে আহত হয়েছেন, তাই টাকা দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চার যুবক চালকের সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক আমজাদ হোসেন ভিডিও ধারণ ও অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা তার উপর হামলা চালায়। ছিনিয়ে নেয়া হয় তার মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা।
খবর পেয়ে জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সাংবাদিকের মোবাইল ও ক্যামেরা উদ্ধার হলেও ডিভাইস থেকে ভিডিওচিত্র মুছে ফেলা হয়। তবে সাংবাদিকের সঙ্গে থাকা গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত কিছু ভিডিও থেকে যায়, যা ঘটনার প্রমাণ হিসেবে রয়েছে।
সাংবাদিক আমজাদ হোসেন বলেন, “আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। ঘটনাটি প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির স্পষ্ট প্রমাণ ছিল। তারা আমার উপর হামলা চালিয়ে প্রমাণ মুছে ফেলতে চেয়েছে। এ ঘটনার ন্যায়বিচার না হলে ভবিষ্যতে কেউ সাহস করে সাংবাদিকতা করতে পারবে না।”
ঘটনার সবকিছু প্রত্যক্ষ করার পরও জাজিরা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং উভয় পক্ষকে ‘সমঝোতা’ করার পরামর্শ দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পুলিশ।