
Khadija Akter Rowja
আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বলছি কতটা প্রাধান্য পাবে আমার জানা নেই ! তবে স্বামী এবং বয়ফ্রেন্ডের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে, যা আইনি, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্পষ্ট। স্বামী: বিবাহ একটি আইনি চুক্তি, যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আইনি অধিকার এবং দায়িত্ব তৈরি করে। এটি সম্পত্তির অধিকার, উত্তরাধিকার এবং অন্যান্য আইনি বিষয় গুলোর সাথে জড়িত। বয়ফ্রেন্ড: বয়ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্ক আইনি ভাবে স্বীকৃত নয়। তাই, এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো আইনি অধিকার বা দায়িত্ব থাকে না। স্বামী: সমাজে বিবাহিত সম্পর্কের একটি বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি সামাজিক ও পারিবারিকভাবে স্বীকৃত। বয়ফ্রেন্ড: বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্ক সাধারণত ব্যক্তিগত এবং এটি সমাজে সেভাবে স্বীকৃত নয়। স্বামী: বিবাহ একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রতিশ্রুতি, যেখানে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন। এটি অর্থনৈতিক, মানসিক এবং শারীরিক সহায়তার সাথে জড়িত।বয়ফ্রেন্ড: বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে কম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এটি যেকোনো সময় শেষ হতে পারে। স্বামী: বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রী সাধারণত এক সাথে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন, যার মধ্যে সন্তানধারণ, বাড়ি কেনা এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। বয়ফ্রেন্ড: বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাধারণত কম থাকে এবং এটি বর্তমানের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়। স্বামী: বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী উভয় পরিবারের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়।বয়ফ্রেন্ড: বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্ক সাধারণত শুধু দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, এখানে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।সংক্ষেপে, স্বামী এবং বয়ফ্রেন্ডের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো আইনি, সামাজিক এবং প্রতিশ্রুতি বদ্ধতার ক্ষেত্রে।