
মধ্যবয়স্ক এক লোক প্রায়ই স্ত্রীর সাথে হাসি তামাশা করতে চায়,স্ত্রীর সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করে তার কিন্তু স্ত্রীর মনে তার জন্য কোনো টান নেই, বরং সেই লোকের হাসি, গল্প বলা তার কাছে বিরক্ত লাগে।
এখন অবশ্য সবাই সেই লোকের স্ত্রীর দোষ দেখতে পাচ্ছেন কিন্তু তার এই ব্যবহারের কারণ তো অনেক আছে।কম বয়সী থাকতে কখনো কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায়নি,শখ করে কিছু কিনে দেয়নি,সময় দেয়নি।সংসার আর বাচ্চা সামলাতে গিয়ে সে ধীরে ধীরে এতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে, স্বামী ছাড়াও তার চলে যায়। এখন আর স্বামীর জন্য তার মন কাঁদে না,স্বামীর শূন্যতা অনুভব করে না।
লোকটা কিন্তু সংসারের জন্যই কাজ করে গেছে কিন্তু সংসার যে শুধু স্ত্রীর ভরণপোষণ দিলেই হয়না,মনের যত্নও নিতে হয়, তা তিনি করেননি। ফলে এখন যখন বয়স হয়েছে, সময় পেলেই স্ত্রীর সঙ্গ চায় তখন আর পায় না।তাছাড়াও সময় পেলেই যার তার সামনে স্ত্রী এবং তার পরিবার কে ছোট করে কথা বলতে কখনো ভুলে যেত না,এতেই যেন সে পৈশাচিক আনন্দ পেত।সন্তান ভুল করলেও স্ত্রীকেই দোষারোপ করতো।
এবার বলুন এখানে দোষী কে?