
রুবিনা শেখ: আজ ২৯ জুন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে ক্যামেরা দিবস হিসেবে। ক্যামেরার গুরুত্ব এবং এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে। ছবি তোলার প্রতি মানুষের আকর্ষণ কিন্তু নতুন নয়। প্রাচীন যুগেও মানুষ নিজের প্রতিকৃতি, প্রিয়জন, পছন্দের কোনো বস্তু বা দৃশ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য যান্ত্রিক ব্যবস্থা উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়েছেন। জানা যায়, প্রায় পাঁচশ’ বছর আগে চাইনিজ এবং গ্রিক দার্শনিকরা ক্যামেরার মতো যন্ত্রের মূলনীতিও বর্ণনা করেছিলেন।
ফরাসি বিজ্ঞানী জোসেফ নিপসে ১৮২৬ বা ১৮২৭ সালে প্রথম স্থির আলোকচিত্র গ্রহণ বা ছবি তোলার ক্যামেরা আবিস্কার করেন। তিনি একটি কাঠের বাক্সের ভেতর এটি তৈরি করেন, যা দেখতে ছিল একটি ছোট্ট ঘরের মতো এবং দু’তিনজন মানুষ তার মধ্যে ঢুকে যেতে পারত। তবে অনেকের মতে, এরও দেড়শ’ বছর আগে ১৬৮৫ সালে জোহান জ্যান ব্যবহার উপযোগী ছোট বহনযোগ্য ক্যামেরা তৈরি করেন। আমেরিকার বিজ্ঞানী জর্জ ইস্টম্যান ১৮৮৮ সালে রোলফিল ক্যামেরা উদ্ভাবন করে ‘কোডাক’ নামে বাজারে ছাড়েন।
বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল ক্যামেরায় ফিল্মের পরিবর্তে ব্যবহার শুরু হয়েছে ডিজিটাল মেমোরি কার্ড এবং এতে ছবি সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা আছে। ক্যামেরা যন্ত্রটি একেবারে ছোট হলেও এর কাজের পরিধি ব্যাপক। খেলার মাঠ, সভা-সমিতি, চিকিৎসা ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, ভিডিও কনফারেন্সসহ বহু কাজে ব্যবহার হচ্ছে নানা ক্যামেরা। এমনকি মঙ্গলগ্রহেও রোবটের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরার মাধ্যমে আমরা পাচ্ছি মঙ্গলগ্রহের নানা ছবি।