
সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করেন তবে আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ হবে না এবং আপনার গোপনীয়তা সব সময় নিরাপদ থাকবে।
তারা কখনো হাল ছাড়ে না
একটা সত্য খবর পেতে সাংবাদিক যেমন ছুটে বেড়ায় শেষ পর্যন্ত, তেমনি সম্পর্ক নিয়েও তারা সিরিয়াস। সমস্যা হলেই ‘ব্রেকআপ’ বলে পালিয়ে যাওয়ার লোক না তারা। বরং সবকিছু যাচাই করে, আপনার দিকটাও বোঝে, তারপর সমাধানের চেষ্টা করে।
মাল্টিটাস্কার
অগণিত উৎস, সময়সীমা এবং ভীষণ চাপের পরিবেশে কাজ করা তাদের অন্যতম দক্ষতা। সাংবাদিকরা মাল্টিটাস্কিংয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা তাদের কাজ এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে পুরোপুরি ভারসাম্য রাখতে জানে। তারা সারাদিনের পরিশ্রমের পরেও সঙ্গীকে ভালোবাসা এবং যত্ন করতে পারে।
আপনাকে স্পেস দেবে
সাংবাদিকদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তারা আপনাকে এক মিলিয়ন প্রশ্ন দিয়ে অতিষ্ঠ করবে না বা আপনি কীভাবে আপনার দিনের প্রতিটি মিনিট কাটিয়েছেন তা জানার দাবি করবে না। তারা আপনাকে স্পেস দেবে এবং বিনিময়ে একই আশা করবে।
কঠোর পরিশ্রমী
সাংবাদিক হওয়া সহজ নয়। এ পেশায় প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম এবং নিঃশর্ত অধ্যবসায়। পিআর- এর সঙ্গে কাজ করা থেকে শুরু করে খবরের উৎসের পেছনে দৌঁড়ানো, কোনোটিই সহজ নয়। তারা ঠিক জানে- কোনোকিছু সঠিকভাবে পেতে এবং কার্যকর করতে কী লাগে এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রেও একই আচরণ আশা করে।
ভালো শ্রোতা
সাংবাদিকদের অন্যতম আরেকটি গুণ হলো তারা ভালো শ্রোতা। তারা দুর্দান্ত গল্প বলার পাশাপাশি গল্প শোনতেও জানে। তারা আপনার করা সামান্য ইঙ্গিতও ধরে ফেলার পারদর্শীতা রাখেন। সহায়ক সাংবাদিকরা প্রয়োজনে অন্যকে সাহায্য করার জন্য নিজের সামর্থ্যের বাইরেও যায়। এক্ষেত্রে পরিচিত কেউ হলে তো কোনো কথাই নেই। তিনি তার সবটা দিয়ে চেষ্টা করবে আপনাকে সাহায্য করার।
পরিশেষে ভালোবাসার মানুষ হিসেবে সাংবাদিক মানে—নির্ভরতা, কেয়ারিং মন, খোলা হৃদয় আর সংবেদনশীল সাহচর্য।