
মহারাজ আবুল সরকার আল-চিশতি নিজামী বাবাজান লিখেছেন –
মারফত হলো উপলব্দি জ্ঞান যা হৃদয় দ্বারা উপলব্দি করতে হয়। প্রত্যেক জিনিস বা প্রত্যেক কর্মের দুটি দিক রয়েছে, একটি হলো বাহ্যিক বা স্থুল আর অপরটি হলো অভ্যন্তরিন বা সূক্ষ। স্থুল জ্ঞান দিয়ে বাহ্যিক অনেক কিছুই আমরা বুঝতে পারি। কিন্তু স্থুল জ্ঞান দিয়ে সূক্ষ বিষয় উপলব্দি করা যায় না। সূক্ষ জ্ঞান দিয়ে সূক্ষ বিষয় উপব্দি করতে হয়। আর মারফত উপলব্দি করতে হলে সূক্ষ জ্ঞান দরকার।
অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায়, প্রত্যেক জিনিসের বা কর্মের মূল লক্ষ্য বা তাৎপর্য রয়েছে। মারেফত হলো কোন বিষয়ের তাৎপর্য জ্ঞান যা সূক্ষ উপলব্দি ক্ষমতা দ্বারা বুঝতে হয়।
সুতরাং মারফত হলো সূক্ষ জ্ঞান, উপলব্দি জ্ঞান। এটা বর্ননা দিয়ে বুঝানোর বিষয় নয়, হৃদয় দিয়ে উপলব্দি করার বিষয়।