রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ঋতুপর্ণাকে বুড়ি বলে আক্রমণ

ইউ বি টিভি ডেস্ক

তুমুল তোপের মুখে পরেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গেলো ১৪ আগস্ট রাত দখলের প্রতিবাদে শঙ্খ বাজানোর একটি ভিডিও শেয়ার করার কারণে তিনি তোপের মুখে পড়েন। যদিও এই ঘটনার প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও তার ওপর রাগ কমেনি সাধারণ মানুষের।
সম্প্রতি পুজার ফটোশুটের একটি ভিডিও শেয়ার করেন ঋতুপর্ণা। যেখানে কখনো শাড়ি তো কখনো কো-অর্ড ড্রেসে সেজেছিলেন তিনি। সেই ভিডিও শেয়ার করতেই আবারও কটাক্ষের শিকার হলেন নায়িকা। ঋতুপর্ণার ওই পোস্টে একদল যেমন তাকে সৌন্দর্যের তারিফ করেছে, অপরদল আবার আরজি কর প্রসঙ্গ টেনে এনে সমালোচনা করেছেন।
ওই পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন – তোমাকে দেখে মনেই হয় না বয়স বাড়ছে! আরেকজন লেখেন – ন্যাকামো…আনলিমিটেড। দ্বিতীয়জনের মন্তব্য – শঙ্খদিদি। আবার কেউ কেউ অপমান করে লিখেছেন – বুড়ির লজ্জা নেই।
মূলত আরজি কর কাণ্ডেই ঋতুপর্ণাকে নিয়ে কটাক্ষ, সমালোচনা থামছেই না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অভিনেত্রীকে নানাভাবে আক্রমণ করছেন নেটিজেনরা। মাত্র কয়েকদিন আগেই শ্যামবাজারে হাজির হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। আরজি কর নির্যাতিতার হয়ে বিচার চাইতে পথে নেমেছিলেন তিনি। তবে সেখানে অভিনেত্রীকে দেখেই ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী দাবি করেন, তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণও করা হয়।
ওই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা বলেন, আমাকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে। উলুধ্বনি এবং শাঁখ বাজিয়ে ব্যঙ্গও করা হয়েছে। তবে এতে আমি কিছু মনে করিনি। তবে এরপর আমার গাড়িতে জুতা ছোড়া হয়। তখন আমি গাড়ির দরজা খুলে বলি, আপনারা এমন করবেন না, আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। তবে কেউ কোনও কথাই শুনলেন না। আমার মনে হয় প্রতিবাদের কথা না মনে রেখে জমায়েতে হুজুগে চলে গিয়েছিলেন। বুঝতে পারছি যে সকলেই ক্ষুব্ধ। তবে কলকাতার এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত। বুধবার রাতে আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত।

প্রতিষ্ঠাতা, ক্যাপশন নিউজ এবং ভিডিও এডিটরঃ মো: রাজিবুল করিম রোমিও, এম, এস, এস (সমাজ কর্ম-রাজশাহী), প্রধান উপদেষ্টাঃ মো: সাদেকুল ইসলাম (কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংগঠক), প্রকাশকঃ কামরুন নেছা তানিয়া, সম্পাদকঃ রুবিনা শেখ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো: আব্দুল আজিজ, নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী, 

প্রিন্ট করুন