দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ছিনতাইকারী এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইং ০৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর-১৪.১০ ঘটিকায় রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন কাঠালবাড়িয়া নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মোঃ জিল্লুর রহমান (৩৬), পিতা-আশরাফ আলী, সাং-বামুজা, থানা-কাহালু, জেলা-বগুড়া’কে গ্রেফতার করে।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম এর ১০ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হলেও ওই সংসারে বনিবনা না হওয়ায় গত ০২ বছর পূর্বে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া মাজিনদা সারপুকুর বাজারে ভিকটিম ০১ ছেলে ও ০১ মেয়েসহ বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে। গত ০৩ মাস পূর্বে উক্ত বিবাদী জিল্লুর এর সাথে টিকটকের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের সূত্র ধরে মোবাইল ফোনে দুজনের কথা-বার্তা হতো। কথা-বার্তার একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ভিকটিমকে বিবাহ করবে বলে উক্ত বিবাদী ভিকটিমকে ঈশ্বরদীতে আসতে বলে।
ভিকটিম বিবাদীর কথামত ইং-০৯/১০/২০২৫ তারিখ রাত্রী ২০.০০ ঘটিকায় ট্রেন যোগে ঈশ্বরদীতে পৌছালে উক্ত বিবাদী ভিকটিমকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরি করে এবং ইং-১০/১০/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান-১৪.০০ ঘটিকায় পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন দাশুড়িয়া বাজারস্থ একটি ফ্লাটের কক্ষ ভাড়া নিয়ে ইং-১৩/১০/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান-১৩.০০ ঘটিকা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভিকটিম উক্ত বিবাদীকে বিবাহের কথা বললে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ভিকটিমের মোবাইল ও ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় ধর্ষক জিল্লুর রহমান (৩৬) এর নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ব্যাব উক্ত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে অদ্য ০৪/১১/২০২৫ তারিখ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচনপত্রের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন কাঠালবাড়িয়া নামক এলাকা হতে উক্ত ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উক্ত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা।
