“সেদিন ছিল শুক্রবার। আমি বগুড়াতে ছিলাম। সেখানে গেলে আমি এলাকার ছোট ভাই, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিই। আমার বাসার পাশেই নদী। ওই দিন সকালে নদীতে নৌকার মধ্যে ছোট ছোট ছেলেদের সঙ্গে নৌকায় খিচুড়ি পাকিয়ে খাচ্ছিলাম।
ছোট্ট নদী তো, নদীর ওপারে একটা গ্রাম আছে। আমার এক বন্ধু বলল, ‘দোস্ত, ওই গ্রামে আমার এক স্কুল ফ্রেন্ড আছে, ও আসবে ঘাটে নৌকা ভিড়া।’
ঘাটে নৌকা ভিড়াতেই দেখি হাজার হাজার লোক। তারা বলতেছে, ‘ডন ভাই, আপনি এখানে! সালমান শাহ তো মারা গেছে।’ তখন আমি বললাম, ‘কী বলো!’
তখন আমি মনে করেছি, সালমান মনে হয় গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। কারণ সালমান খুব ভালো ড্রাইভ করতে জানত, অনেক এক্সপার্ট। ও এমনভাবে গাড়ি চালাত, আমি ওর গাড়িতে উঠার সময় সুরা পড়ে উঠতাম।
এরপর নৌকা ঘাটে ভিড়িয়ে বাড়ি এসে সম্ভবত সন্ধ্যা ৭টার খবরে টেলিভিশনে দেখলাম সালমান মারা গেছে। কিন্তু কী কারণে মারা গেছে, ওইটা তো বুঝতে হবে।
তখন আমি মনে মনে ভাবলাম, বাসায় মারা গেছে — তার মানে হয়তো কোনো একটা সমস্যা হয়েছে।
সালমানের মৃত্যুর বিষয়টি পারিবারিক ব্যাপার। সে মানসিকভাবে আপসেট ছিল।
সালমানের মায়ের কিছু খারাপ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে সালমান আপসেট থাকতো। মনে করেন, আমি যদি রাত ১২টায় শুটিং করে বাসায় এসে মাকে না পাই — খুঁজে দেখি তিনি অন্য কারো বাসায়, আড্ডায়, খুব অচেতন অবস্থায় — তখন তো ছেলে হিসেবে তখনই আমার মানসিক মৃত্যু হবে তাই না, মনে হবে আমার বেঁচে থাকায় বৃথা।
আর সালমানের মা তখন জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরশাদ সাহেবকে নিয়ে তাকে ঘিরে সেই সময় খবরও হয়েছিল। তৎকালীন পত্রিকা খুঁজলে পাওয়া যাবে জয়।”
