সাইফ হাসানের আরো কাজ করতে হবে
প্রতিটি ম্যাচের পূর্বে বোলিং কোচরা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের স্ট্রং জোন উইক জোনগুলো বোলারদের এনালাইসিস করে দেখায়। এমনকি ব্যাটারদের রিসেন্ট পারফরম্যান্স এবং কোন লেন্থের বলগুলোতে বেশি পরাস্ত হয়েছিল এগুলো ডিপলি এনালাইসিস করে। আর এতেই ফেঁসে যান সাইফ হাসান।
সাইফ হাসান রিসেন্ট যে ইনিংসগুলোতে ভালো করেছেন। সে ইনিংস গুলোর হিট ম্যাপ যাচাই করলে দেখবেন, তিনি বেশিরভাগ ফাইন লেগ, স্কয়ার লেগে ও মিড উইকেটের দিকে বেশি শট খেলেছেন। সেসব বল শর্ট লেন্থে পরেছে এগুলো পুল শট খেলেছেন। লেগ সাইডে থাকা বল গুলো ফ্লিক শট খেলেছেন। ইন সুয়িং করা বলগুলো রোম করে ফাইন লেগের উপর দিয়ে ছক্কা হাকিঁয়েছেন।
কিন্তু আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা তার বিরুদ্ধে এই ধরনের ইন সুয়িং, শট লেন্থ ও লেগে সাইডে বল দেয়নি। তারা অফ সাইডে গুড লেন্থে বল রেখে আউট সুয়িং করেছে। যার ফলে সে লেগ সাইডে কোন শট খেলার সুযোগ পায়নি। আর এতেই সাইফ হাসান ধরা খেয়ে যান। সাইফ হাসান যে টেকনিকালি দূর্বল সেটা ডেরেন সামি ভালো রিড করতে পেরেছেন এবং তার গেইম প্ল্যান সফলভাবে কাজ করেছে।
সাইফ হাসানের আরো কাজ করতে হবে। পিচে চতুর্মাত্রিক ব্যাটিং স্কিল অর্জন করতে হবে। নিজের ফেভারে থাকা বল ছক্কা মারলেই হবেনা। দীর্ঘ মেয়াদের জাতীয় দলে খেলতে হলে নিজের উইক জোনগুলো নিয়ে ব্যাপক কাজ করতে হবে।













