বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

অল্পর জন্য বেঁচে গেলেন সাংবাদিক মিশন

মোঃ শাহিনুর রহমান আকাশ নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:০৯ পিএম | 135 বার পড়া হয়েছে
অল্পর জন্য বেঁচে গেলেন সাংবাদিক মিশন

পাবনার ঈশ্বরদীতে সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার নুরমহল্লা সাকিনস্থ কোহিনুর বেকারীর সামনের পাকা রাস্তার উপর সাংবাদিক মিশনের উপর এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়।

সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশন জাতীয় দৈনিক বিজয় পত্রিকা, সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি এবং রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক মিশনের স্ত্রী বিথী বেগম বাদী হয়ে মোঃ জুয়েল পিতা-মোঃ ইয়াছিন, মোঃ নয়ন পিতা-মৃত বোদা, মোঃ সোহেল পিতা -মৃত আমিরুল, মোঃ সেলিম পিতা-মোঃ রহমান, মোঃ সোহাগ , পিতা-মোঃ মঞ্জুর, মোঃ বনি পিতা-মোঃ ওবায়দুর সর্বসাংপূর্ব- টেংরী আমবাগান, থানা-ঈশ্বরদী, জেলা-পাবনা গন সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জনের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) ৪নং ওয়ার্ড পূর্ব নুরমহল্লা সাকিনস্থ কোহিনুর বেকারীর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছানো মাত্রই পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া আসামীরা দলবদ্ধভাবে হাতে লাঠি-সোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক মিশনের পথ রোধ করে চারপাশ ঘিরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, তখন মিশন তাদের গালমন্দ করতে নিষেধ করলে ১নং আসামী জুয়েল হুকুম দিয়ে বলে শালাকে মার প্রানে মেরে ফেল, এই কথা বলা মাত্রই ১নং আসামী সহ অন্যান্য আসামীগন তাহাদের হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া, রামদা, লোহার রড, জিআই পাইপ, লাঠি-সোঁটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সাংবাদিক মিশনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ী মারপিট শুরু করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিলা, ফোলা, কালশিরা, থ্যাতলানো ও রক্তাক্ত জখম করে।

১নং আসামী জুয়েল তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দ্বারা হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে মিশনের মাথা সরাইয়া নেয় এবং কোপটি বাম চোখ সহ ভুরুর উপর লেগে মারাত্বক ভাবে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম হয়। ২নং আসামী নয়ন তাহার হাতে থাকা ধারালো রামদা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে উক্ত কোপ বাম হাত দ্বারা ঠেকালে বাম হাতের বাহুতে লেগে কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। ৩নং আসামী সোহেল তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা মাথায় আঘাত করলে ফোলা, কালশিরা জখম হয়। ৪নং আসামী সেলিম তাহার হাতে থাকা লোহার হাতুড়ী দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত মাথার পিছনে লেগে ফোলা ও থ্যাতলানো জখম হয়। ৫নং আসামী সোহাগ তাহার হাতে থাকা জিআই পাইপ দ্বারা পাঁজরে আঘাত করে কালশিরা ও থ্যাতলানো জখম করে। ৬নং আসামী বনি তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা পিঠে আঘাত করে কালশিরা ও থ্যাতলা জখম করে। পাকা রাস্তার উপর পরিয়া গেলে ২নং আসামী নয়ন গলার উপর পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে এবং অন্যান্য আসামীগন বুক, তলপেট, পাঁজরে উপর্যুপরি লাথি কিল ঘষি মেরে জখম করে। ৫নং আসামী সোহাগ সাংবাদিক মিশনের প্যান্টের পিছন পকেটে ম্যানিব্যাগে থাকা নগদ ১৪,৩০০/-(চৌদ্দ হাজার তিনশত) টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে বের করে নেয়। মিশন বাঁচাও বাঁচাও বলিয়া ডাক চিৎকার করিতে থাকিলে আশে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে অনেকে আগাইয়া আসে আসামীগন সাংবাদিক কে খুন জখম করার হুমকী ধামকী ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।

তখন স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় দ্রুত রিক্সা যোগে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

দিল্লীর ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে,এন আই এ তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২০ পিএম
দিল্লীর ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে,এন আই এ তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

 

গতকাল রাতে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে প্রায় আটজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ছয়জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় সরকার এন আই এ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অন্যান্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্টদের কে কাজে লাগিয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।এই ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর নেতা শ্রী রাহুল গান্ধী ও পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,আর জে ডি নেতা শ্রী তেজস্বী যাদব ও এস পি নেতা অখিলেশ যাদব সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দিল্লীর লালকেল্লা এলাকায় গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে এখনো পর্যন্ত পস্ট নয়। তবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হয়েছে।এই ঘটনার পর গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সবধরনের সহযোগিতা কামনা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।

নিয়ামতপুরে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক-শ্রমিকের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

মিলন হোসেন (নওগাঁ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
নিয়ামতপুরে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক-শ্রমিকের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক ও শ্রমিকদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‎‎বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা চত্বর এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
‎‎মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো শ্রমিকের জীবিকা বিপন্ন হবে। গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি ইটভাটা শিল্প এটি বন্ধ হয়ে গেলে বহু পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়বে। সরকার যদি যথাসময়ে অনুমোদন না দেয়, তাহলে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়বে।
‎‎মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দেশ বিকস্ ইটভাটার মালিক মোসাদ্দেক হোসেন, স্টার হাওয়া ইটভাটার মালিক মদিন, আঁখি ব্রিকসের মালিক আঞ্জুমান পাভেল, তিন ভাই ব্রিকসের মালিক রেজাউল ইসলামসহ শ্রমিকবৃন্দ ।
‎‎বক্তারা দ্রুত ইটভাটা চালুর অনুমোদন প্রদানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, যাতে শীত মৌসুমে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে শ্রমিকরা আবারও জীবিকার চাকা ঘুরাতে পারেন।

লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নারায়ণ চন্দ্র রায় গ্রেফতার

চয়ন কুমার রায় লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নারায়ণ চন্দ্র রায় গ্রেফতার

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নারায়ণ চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজপুর ইউনিয়নের নিজ এলাকার বাজারে বাবার কীটনাশক দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া নারায়ণ চন্দ্র রায় মতিলান চন্দ্র রায়ের ছেলে। তিনি লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। ছাত্র রাজনীতি ও স্থানীয় পর্যায়ে তিনি পরিচিত মুখ।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর থানার একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তবে কোন অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে, এ বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।