মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

হতাশ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে মেলেনি অনেক হিসাব

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:১৭ পিএম | 86 বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে মেলেনি অনেক হিসাব

গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সাড়ে ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে এক গভীর হতাশা। দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রশাসনিক দক্ষতা, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি — সব ক্ষেত্রেই প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মধ্যে রয়ে গেছে বিস্তর ব্যবধান। রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাংবাদিক, নারী অধিকারকর্মীসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মনে করছেন— সময় যত যাচ্ছে, ততই দৃশ্যমান হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মদক্ষতার সীমাবদ্ধতা।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ১৪ মাসে ১৩টি দেশে ১৪টি সফর সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু এসব সফর দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য কিংবা কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে কতটা অবদান রেখেছে — তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিশেষ করে তার সর্বশেষ রোম সফর নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহল।

রোম সফরে তিনি আসলে কী অর্জন করেছেন, সেটি নিয়ে বিতর্ক চলছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন— প্রোটোকল অনুযায়ী রোম মেয়রের অফিসে গিয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল কি না? সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন,“একটি দেশের শীর্ষ নেতার ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াটা কতটা জরুরি? এটা কোনো দ্বিপাক্ষিক সফর ছিল না, বরং বহুপাক্ষিক আয়োজন। অথচ দেশের ভেতরে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা প্রধান উপদেষ্টার মনোযোগ দাবি করে।”

দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছিলেন, “আমাদের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেবে, এবং সব উপদেষ্টা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব প্রকাশ করবেন।”

কিন্তু ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। এখনো কোনো উপদেষ্টার সম্পদ বিবরণ জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়নি।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন,“ঘটনাটা অনেকটা শেখ হাসিনার সময়কার মতো হয়ে গেছে। সেসময়ও প্রতিশ্রুতি ছিল, মন্ত্রীরা সম্পদের তথ্য প্রকাশ করবেন — কিন্তু তা হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, কিন্তু হতাশ হয়েছি।”

তবে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ দাবি করেন,“অধিকাংশ উপদেষ্টা ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন, সময়মতো জনগণ জানতে পারবে।”

অভ্যুত্থানের পর থেকেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও মাঠপর্যায়ে চিত্র ভিন্ন। বরং বেশ কয়েকটি নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি— রাজবাড়ির গোয়ালন্দে ধর্মীয় নেতা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলা। ধর্মীয় উসকানি, প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা ও বিচারহীনতার এই ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিসরেও ব্যাপক সমালোচিত হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দাবি করা হয়েছে—“২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত দেশে ডাকাতি হয়েছে ৬১০টি, খুন ৩,৫৫৪টি, ধর্ষণ ৪,১০৫টি এবং নারী-শিশু নির্যাতন ১২,৭২৬টি। গুরুতর অপরাধের প্রবণতা ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।”

কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিসংখ্যান আসলে মাঠের বাস্তবতা আড়াল করছে। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আশরাফুল হুদা বলেন,“যতটা উন্নতি হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়নি। পুলিশের মনোবল পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নির্বাচিত সরকার না এলে এই পরিস্থিতির উন্নতি কঠিন।”

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আশাবাদের পরিবর্তে তৈরি হয়েছে নতুন শঙ্কা। সুপ্রিমকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন,“আইন আছে, কিন্তু আইনের শাসন নেই। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যখন বলেন ‘জামিন না দেওয়ার’ নির্দেশ দেওয়া হবে, তখন বোঝা যায়— বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোথায় নেমে গেছে।”

অন্যদিকে সিনিয়র আইনজীবী সাইদ আহমেদ রাজা মনে করেন,“২০২৪ সালের মে-জুনের পর যে আগুনে সারাদেশ পুড়েছিল, তা বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করেছে। বরং এখন দেখা যাচ্ছে— বিচারপতি ও আইন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এতে বিচার ব্যবস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে।”

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে সরকার এখন নানামুখী চাপের মুখে। নির্বাচন সামনে রেখে যে সংস্কার প্রত্যাশিত ছিল— তা এখনো দিগন্তে দেখা যাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা— প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তার ছায়া।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বছরটিতে যে উদ্যম ও প্রত্যাশা দেখা গিয়েছিল, তা ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়েছে। একদিকে প্রশাসনিক জট, অন্যদিকে নেতৃত্বের অভাব— সব মিলিয়ে সরকার এখন এক কঠিন বাস্তবতার মুখে দাঁড়িয়ে।

সাধারণ মানুষ ভেবেছিল দুর্নীতিমুক্ত, মানবিক ও স্বচ্ছ শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু ১৪ মাস পর সেই প্রত্যাশা এখন পরিণত হয়েছে হতাশায়। নারী অধিকারকর্মী, শ্রমিক প্রতিনিধি, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও শোনা যাচ্ছে একই সুর—

“বদল এসেছে কেবল মুখে, মাঠে নয়।”

১৪ মাসের পথচলায় অন্তর্বর্তী সরকার কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলেও, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনীতি ও স্বচ্ছতা— সব ক্ষেত্রেই অর্জনের চেয়ে প্রশ্ন বেশি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “যে সরকার গণঅভ্যুত্থানের দাবিতে গঠিত হয়েছিল, তাদের সামনে এখন একটাই চ্যালেঞ্জ— জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা।”

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসের হিসাব কেবল পরিসংখ্যান নয়, এটি জাতির প্রত্যাশা ও হতাশার এক প্রতিচ্ছবি। দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহি ও রাজনৈতিক সততার পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন সময়ের দাবি।

ভূঞাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত

(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:  প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২১ পিএম
ভূঞাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিএনপির আয়োজনে ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে ‘বাড়ি বাড়ি ভোট চাওয়া’ কর্মসূচি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে, শাখা বিএনপির সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে

অনুষ্ঠানে বক্তারা দলীয় ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ভোট প্রার্থনা কার্যক্রম জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে, তারা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চলমান রাজনৈতিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচারিক রায় অনুযায়ী দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান। পথসভায় বক্তব্য রাখেন ভূঞাপুর থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম প্রামাণিক, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিবলী সাদিক এবং ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল জলিল মন্ডল প্রমুখ। বক্তারা আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে ও ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক গণসংযোগ করাই এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

মোহাম্মদ সোহেল (বিশেষ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০২ পিএম
টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। যমুনা সেতু পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী পামওয়েল বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৭৫৭৯) হাতিয়া এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-৫৪৮৬) ও একটি পাজেরো গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৭৬৯৯) ট্রাকটির গতিরোধ করে। এসময় টহলরত পুলিশের নজরে পড়ে। পুলিশের পুলিশের তল্লাশিতে ১টি লাইসেন্সকৃত শর্টগান, ৬টি সিসা কার্তুজ, ১টি লেজার লাইট, ২টি সিগন্যাল লাইট, ৪টি শর্ট ওয়াকি-টকি

২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃত ছয় সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে যমুনা সেতু পূর্ব থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, “ডাকাতির প্রস্তুতিমূলক সকল উপকরণসহ সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি আরও তদন্ত চলছে।

আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

মোঃ ওমর ফারুক (সানি), স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৪১ পিএম
আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

পাবনার আমিনপুর থানার বুলন্দর চর এলাকায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ৭৫ বছর বয়সী তাকাই প্রামানিক নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় শিশুটির বাবা আমিনপুর থানায় মামলাটি করেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার বৃদ্ধ একই গ্রামের মৃত ছবেদ প্রামানিকের ছেলে।

লিখিত এজাহার থেকে জানা গেছে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে শিশুটি চাচার বাড়ির সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। এ সময় বৃদ্ধ তাকাই প্রামানিক তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে টাকা দেওয়ার প্রলোভন ও হত্যার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে। সন্ধ্যায় শিশুটির রক্তপাত শুরু হয়ে অসুস্থ হলে পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে।

শিশুটির ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী খাতুন জানান, তিনি তাকাই প্রামানিককে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন এবং কিছুক্ষণ পর শিশুটিকেও সেখান থেকে বের হতে দেখেন। পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি ধর্ষণের কথা জানায়।

আমিনপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই রেজাউল করিম বৃদ্ধকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি থানায় রয়েছে।

জেলার এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুজানগর ও আমিনপুর সার্কেল) নাম না প্রকাশ করে জানান, আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।