সেনাবাহিনীর আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা

বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হওয়া দেশের আইনের শাসনের প্রতি একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনীর এই আচরণ গণতন্ত্র, বিচারব্যবস্থা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাবের প্রতিফলন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন,
“আজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে সেনা সদস্যরা যেভাবে এসেছেন বা যেভাবে তাদের আনা হয়েছে—এখানে সেনা প্রশাসন, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, এমনকি সেনাপ্রধান যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, সেটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তারা আইনের শাসনের প্রতি যে শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়েছেন, আমরা সেটিকে খুব ইতিবাচকভাবে দেখছি।”
অধ্যাপক আসিফ নজরুল আরও বলেন, “এটা দেশের বিচারব্যবস্থার জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। আইন সবার জন্য সমান—এই নীতিতে সেনাবাহিনীও যে বিশ্বাস রাখে, সেটার প্রমাণ আমরা আজ দেখেছি।”
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “সাব জেলে কেন রাখা হয়েছে বা তাদের কোথায় রাখা হবে—এটা সম্পূর্ণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভুক্ত বিষয়। ওনারা যেটা প্রয়োজন ও উপযুক্ত মনে করবেন, সেটা তারাই করবেন। এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করার এখতিয়ার নেই।”
তিনি আরও বলেন, সরকারের লক্ষ্য হলো বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা এবং সব নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। “যে কেউ যেই অবস্থানের হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়—এটাই আমাদের সরকারের মূল বার্তা,” যোগ করেন তিনি।
সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি শুধু বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নয়, বরং আইনশৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতাকেও স্পষ্ট করে তোলে। এ ধরনের আচরণ দেশের গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

















