রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

আবু সাঈদ,বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

অপরাজেয় জাহেদা: ভ্যানের চাকায় ঘুরছে জীবনের চাকা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পিএম | 77 বার পড়া হয়েছে
অপরাজেয় জাহেদা: ভ্যানের চাকায় ঘুরছে জীবনের চাকা

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোত কাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোসাঃ জাহেদা বেগম (৫৫)। যাঁর জীবনের গল্প অন্যরকম এক সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। দীর্ঘ এক যুগ ধরে তিনি ব্যাটারি চালিত ভ্যানগাড়ি চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল ৭/৮টার দিকে নিজের ভ্যান নিয়ে রাস্তায় নামেন এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাড়ায় চালান। জীবনের চাকা তার হাতে যেন প্রতীকীভাবে ঘুরে চলে – এক চাকা জীবিকার, অন্য চাকা সম্মানের।

জাহেদা বেগমের জীবনের গল্প শুরু হয় ২৫ বছর আগে, মোঃ শাহজামান সরদারের সঙ্গে বিয়ের মাধ্যমে। সংসার জীবন শুরু হয় এক সাধারণ গৃহবধূ হিসেবে। সন্তান-সন্ততি, শ্বশুরবাড়ি—সবকিছুতেই নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। কিন্তু জীবনের মোড় ঘুরে যায় যখন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামীকে ফেলে ফিরে আসতে হয় বাবার বাড়ি, বাংলাবাজার চরে। জন্ম দেন একমাত্র ছেলে জাহিদুল ইসলামকে।

স্বামী-শ্বশুরবাড়ির তিক্ততা আর সন্তান পালনের তাগিদে এক সময় সিদ্ধান্ত নেন রাস্তায় নামার। চালাতে শুরু করেন চার্জার ভ্যানগাড়ি। সমাজের অনেক চোখরাঙানি, অবজ্ঞা আর অবহেলাকে পেছনে ফেলে, সন্তানের মুখে আহার তুলে দিতে রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে চালিয়ে যান জীবনের এই ভ্যান।

বর্তমানে ছেলে জাহিদুল (২৩) একজন দিনমজুর। বিবাহিত এবং তার তিন বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে, নাম জুনাইদ। জাহেদা বেগম এই তিন সদস্যের ছোট পরিবার নিয়েই তার জীবন গড়েছেন।

জাহেদা বেগম বলেন, “প্রতিদিন এই ভ্যান চালিয়ে পাঁচ থেকে ছয়শো টাকা পর্যন্ত আয় করি। এটাই খাবার,বিদ্যুৎ বিল, ঔষধ ইত্যাদিতে খরচ করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।”

তার এলাকার মানুষদের কাছে তিনি সৎ, নির্লোভ, পরিশ্রমী ও ভদ্র হিসেবে পরিচিত। সহযোগী ভ্যান চালকরা জানান, “জাহেদা আপা একজন হাসিখুশি মানুষ। তিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনযাপন করেন। দুপুরে সামান্য বিস্কুট-পাউরুটি খেয়েই সারাদিন খাটেন। কখনো কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি।”

নারী হয়েও পুরুষদের পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কর্মজীবনের এই কঠিন পথে চলেছেন জাহেদা। তার এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালে উপজেলা প্রশাসন বাঘাে সহযোগিতায়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে “বিশেষ সম্মাননা স্মারক” প্রদান করা হয়।

জাহেদা বেগম যেন বাঘার এক অনন্য সাহসিনী – যিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছাশক্তি আর আত্মবিশ্বাস থাকলে কোনো বাধাই জীবনের গতি থামাতে পারে না। নারী বলেই দুর্বল নয়, বরং সাহস ও সংগ্রামের অপর নামও হতে পারে একজন জাহেদা বেগম।

 

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী

কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে, যা মনসুরনগর চরের শিক্ষার্থীদেরসহ স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে; বিশেষ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ও স্কুলে যেতে তাদের ডুবোচরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে, যা একটি বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
মূল সমস্যা: শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা অসংখ্য ডুবোচর যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে।
প্রভাব: ছাত্রছাত্রী, রোগীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উদাহরণ: মনসুরনগর চরের লোকজন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫০ এএম
কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকালে হানাদার মুক্ত দিবসের বিজয় মিছিল,পুস্প্যমাল্য অর্পন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত হয়। এই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পরাজয় মেনে নিয়ে কুড়িগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম ওভারহেড পানির টাংকির উপর প্রথম স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এই দিবসের শুরুতে সকাল ৯ টায় একটি বিজয় মিছিল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হতে বেড় হয়ে শহর পদক্ষিন করে। পরে কলেজ মোড় স্বাধীনতার বিজয় স্থম্ভে পুস্প্য মাল্য অর্পণ করে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সদর কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বাতেন সরকারের সঞ্চালনায় এক স্মৃতি চারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,এনডিসি এবিএম মেজবাহ উদ্দিন,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার (বীর প্রতীক), বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আব্দুস সালাম(অবঃ), বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ,প্রবীন সাংবাদিক সফি খান,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাহবুবুর রশীদ তালুকদার স্বপন,সহ সভাপতি নব কুমার সরখেল ববি,সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান খোকন,উদীচী শিল্পিগোষ্ঠির অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক,১৯ সংগঠনের রাজ্য জ্যোতি,জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সদস্য সচিব হেলাল আহমেদ,প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব আব্দুল মুমিন বাবু প্রমুখ ।

জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য গঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম আবর্তনের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের কৃতী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী, তাড়াশের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের মাসুদ রানা।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দায়িত্বগ্রহণের পর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে বলে জানান নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক।

সংগঠনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সভাপতি শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, সংগঠনের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে আমরা আরও নতুনত্বের প্রকাশ ঘটাবো।”

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, “সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য এক বিশেষ সম্মান। এই বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে আমরা সমিতিকে আরও সংগঠিত, কার্যকর ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলব। আগামী দিনে সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসের সম্পর্ক জোরদার করাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাব।”

নতুন কমিটি ঘোষণায় জাবির সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।